দেশজুড়ে

ববিজানের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও

দেশের জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জাগোনিউজ২৪.কম-এ সংবাদ প্রকাশের পর বীরাঙ্গনা ববিজানের পাশে দাঁড়ালেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম আহমেদ। ববিজান বেগম উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আরাদন আলীর মেয়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঙ্গলবার জুবাইর হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবকের মাধ্যমে ববিজানের কাছে একটি কম্বল ও একটি চাদর পৌঁছে দেন।একই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ববিজানের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা।গত ১৬ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান ববিজান’ শিরোনামে জাগোনিউজ২৪.কম-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদের নজরে আসে। পরে তিনি ববিজানের খোঁজ খবর নেন এবং একটি কম্বল ও একটি চাদর দেন।এ বিষয়ে ববিজান বেগম জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী একদিন তাদের গ্রামে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বিএসসিসহ আরও কয়েকজনের বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ওই দিনই পাক বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তাকেসহ আরও কয়েকজন নারীকে নির্যাতন করে।অস্ত্রের ভয় আর গণধর্ষণের কারণে জ্ঞান হারান তিনি। নির্যাতিত হওয়ার কারণে স্বামীর সংসার ছাড়তে হয় তাকে। বর্তমানে বন বিভাগের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করছেন তিনি। বয়স হওয়ায় এখন কানে কম শোনেন এবং স্মৃতিশক্তিও কমে গেছে তার।স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও বীরাঙ্গনা ববিজান মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। এ ছাড়া বয়স্ক বা বিধবা ভাতা বা সরকারি কোনো সযোগ-সুবিধাও দেয়া হয়নি তাকে। কাজ করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে কাটছে বৃদ্ধা ববিজানের দিন।ববিজান বেগম কম্বল ও চাদর পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, কেউ কোন দিন আমার খোঁজ খবর নেয়নি। সাংবাদিকরা কাগজে লেখার পর এখন অনেকেই খোঁজ নিচ্ছে। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদ বলেন, অনলাইনে প্রতিবেদনটি পড়ে ববিজান বেগম সম্পর্কে জানতে পেরেছি। একটি কম্বল ও একটি চাদর তাকে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে এক সপ্তাহের মধ্যে ববিজানের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তার সর্ম্পকে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এস এম এরশাদ/এএম/এমএস

Advertisement