আইন-আদালত

বর্ষবরণে লাঞ্ছনাকারীদের ধরতে ‘আন্তরিকতার অভাব’ পুলিশে

বর্ষবরণে লাঞ্ছনাকারীদের ধরতে পুলিশের ‘আন্তরিকতার অভাব’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, পুলিশ অরেকটু আন্তরিক হলে বর্ষবরণের যৌন হয়রানি মামলায় বাকি সাতজনকে গ্রেফতার করে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারতো।   এর আগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌন হয়রানির ঘটনার দায়ের করা মামলায় প্রায় দুই বছর পর মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সিএমএম আদালতে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত সাতজনকে বাদ দিয়ে গ্রেফতার মো. কামালের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।এরপর জাগো নিউজের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক চার্জশিটে উল্লেখ করেন, মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত আট আসামিকে শনাক্ত করা হলেও একজনকে গ্রেফতার করা যায়। অপর আসামিদের গ্রেফতার করতে পারলে চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হবে। ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীদের লাঞ্ছনার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্তের পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরদিন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। ওই প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, বর্ষবরণে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৮ যৌন হয়রানিকারীকে গ্রেফতার করা যায়নি।চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮-১০ জন দুষ্কৃতকারী কতিপয় নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। তবে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার। জেএ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement