সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ মানবাধিকারের দেশ ইতালিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসীরা আসে সুখের নোঙর ফেলতে। এতে কারো ভাগ্যের চাকা দ্রুতই ঘুরে যায়, কারো আবার ঘুরতে সময় লাগে কমপক্ষে ১০ বছর। ইতালিতে বৈধ হওয়ার পর যে কেউই সে দেশের ‘পাসপোর্ট’ পাওয়ার আশা করতে পারেন। তবে নিয়ম বহির্ভূত হলে কোন কাজই সম্ভব হয় না দেশটির আইনে। ‘পাসপোর্ট’ সংক্রান্ত ব্যাপারে স্যোসাল সংগঠন ধুমকেতুর কর্ণধার নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন একজন অভিবাসী ইতালিতে একটানা দশ বছর বসবাস করার পর নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এর মাঝে রেসিডেন্টে কোন প্রকার গ্যাপ বা বাদ পরলে তিনি পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন না। যদি করা হয় অভিবাসী অফিস তা বাতিল করে দেবে। তিনি আরো বলেন, কোন কারণে কারো ১০ বছরের মাঝে দিন মাস ফাঁক পড়লে ওই অভিবাসীকে অবশ্যই নিজ কর্মস্থলের কাগজপত্র দিয়ে প্রমান করতে হবে যে তিনি সেখানে ১০ বছর ধরে আছেন। তবে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। পাসপোর্টের জন্য তারা ইতালিতে একটানা পাঁচ বছর থাকলেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। অবশ্য সাধারণ অভিবাসীদের জন্য ১০ বছরের শর্ত শিথিল করে ৫ বছর করার আলাপ আলোচনা চলছে। তবে কবে নাগাদ এটা কার্যকর হতে পারে তা এখনও জানা যায়নি। এই আইন কার্যকর হলে ঘুরতে পারে প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশির ভাগ্যের চাকা। সেই প্রতিক্ষায় আছেন ইতালি বসবাসরত বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।এমএমজেড/পিআর
Advertisement