নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন বাকি। যতই সময় যাচ্ছে বন্দর নগরীতে অাইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে কঠোরে হচ্ছে প্রশাসন। তাই নির্বাচনী এলাকায় মানুষ চলাচলে সব ধরনের বিধি-নিষেধ বলবৎ করছে প্রশাসন। তবে নাসিক এলাকায় ভোটার নন এমন গার্মেন্ট শ্রমিকদের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তা মানতে পারছে না। এসব শ্রমিকদের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্র প্রয়োগে শিথিলতা দেখাচ্ছে ইসি।নির্বাচনী এলাকায় ১৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর ১২টা পর্যন্ত সিটির স্থায়ী বাসিন্দা বা ভোটার ছাড়া কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়। অথচ নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্ট শ্রমিক ছাড়াও অধিকাংশ বহিরাগত বিভিন্ন পেশার মানুষ। যারা এখনও সিটিতে অবস্থান করছেন। তাদের শহর থেকে চলে যেতে নামেমাত্র মাইকিং ছাড়া তৎপরতা দেখা যায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নাসিক নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠুতার স্বার্থে আইনশৃংখলা বাহিনী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়। নির্বাচনে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করার মূল কারণ হচ্ছে নির্বাচনে যারা বাহির হতে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে।’গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, গার্মেন্ট শিল্প হচ্ছে দেশের রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান। এই শিল্পকে আমরা সবাই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাই নির্বাচনে কারখানার শ্রমিকরা যেন তাদের নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র নিয়ে বের হন।এসএম/জেডএ/পিআর
Advertisement