জাতীয়

যুব কল্যাণ তহবিল আইন অনুমোদন

স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনগুলোকে অনুদান দিতে আইন করল সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘যুবকল্যাণ তহবিল আইন, ২০১৫’ শিরোনামে, আইনটি ভেটিং সাপেক্ষে চুড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ভেটিং সাপেক্ষে আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইনের ফলে শিক্ষা, বিজ্ঞান, কারিগরি, ক্রীড়া, কলা ও সাংস্কৃতিক কাজের জন্য যুব সংগঠনকে অনুদান দেওয়া যাবে।এর আগে সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশের মাধ্যমে যুব সংগঠনকে অনুদান দেওয়া হতো।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবশ্যকীয়গুলো আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত ছিল। ‘দ্য ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার ফান্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫’ এর বাংলা ভার্সন করে আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়।এ আইনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনগুলোকে প্রকল্পভিত্তিক অনুদান দেওয়া হচ্ছিল। প্রথমে ১৫ কোটি টাকার সিড মানি অনুদান দেওয়া হয়েছিল। তা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রাখা ছিল। মুনাফা থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হতো।এ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৮৬টি যুব সংগঠনকে ১১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।আইনে কোন কোন কাজের জন্য অনুদান দেওয়া যাবে তা বলা রয়েছে। এবং নিরীক্ষার বিধান রাখা হয়েছে। সরকারের অনুমোদন নিয়ে যুব মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে অন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান নিতে পারবে।দুই স্তরের পরিচালনা পদ্ধতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি সিলেকশন কমিটি, এর প্রধান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছেন। প্রস্তাব গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোন সংগঠনকে কতো টাকা অনুদান দেওয়া যায় তার সুপারিশ করবেন কমিটি।এ সুপারিশ অনুমোদন করবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালনা বোর্ড। তবে ওই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী থাকলে তিনি বোর্ডের সদস্য হবেন। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবও পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হবেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিচালনা বোর্ড ইচ্ছা করলে তহবিল পরিচালনার জন্য নীতিমালা করতে পারবেন। সরকার ইচ্ছা করলে পরিচালনার জন্য বিধিমালা করতে পারবে।এসএ/বিএ/এমএস

Advertisement