ভারতে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। শনিবার রাতে দেশটির নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে লে. জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর রোববার দেশটির রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলোর অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে টপকে নতুন প্রধানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বলছে, কংগ্রেসের সময়ও জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘন করার অনেক নজির আছে এবং বিরোধীরা কৌশলে এটিকে একটি সাম্প্রদায়িক রঙ দিতে চাচ্ছে। ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগ অবসরে যাচ্ছেন এ বছরের শেষ দিনে। সাধারণত পরবর্তী ভারতীয় সেনাপ্রধানের নাম দুমাস আগে ঘোষণা দেয়ার নিয়ম থাকলেও এবার জেনারেল সুহাগের উত্তরসূরীর নাম ঘোষণা করেছে মাত্র ১৩ দিন আগে। লে. জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নাম ওই পদের জন্য ঘোষণা করা মাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো।কংগ্রেস মুখপাত্র ও সাবেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী মনীষ তিওয়ারি প্রথমে টুইট করে, পরে রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, তারা মনে করেন এই নিয়োগ অন্যায় ও অনৈতিক। তিনি বলেন, এই প্রশ্ন অবশ্যই উঠবে যে লে. জেনারেল পবন বক্সি, মহম্মদ আলি হারিজ ও বিএস নেগির মতো তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে টপকে কেন এই নিয়োগ দেয়া হল? এই তিনজন ইস্টার্ন, সেন্ট্রাল ও সাদার্ন আর্মি কমান্ডের কমান্ডার; তাদের অনায়াসেই সেনাপ্রধান করা যেত।তিনি বলেন, আমরা রাওয়াতের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না, কিন্তু এটা অবশ্যই জানতে চাইছি সিনিয়রিটিতে যিনি চার নম্বর তাকে কেন সেনাপ্রধান বানানো হল এবং বাকি তিনজনকে কেন যোগ্য মনে করা হল না?সিপিআই নেতা ডি রাজাও বলেছেন, সেনাপ্রধানের নিয়োগকে সব রকমের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখাই বাঞ্ছনীয়। বামপন্থীরা যুক্তি দিচ্ছেন, সেনাবাহিনী হল সারা দেশের; শুধুমাত্র সরকারের নয়। সুতরাং কীসের ভিত্তিতে এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ করা হচ্ছে সরকারের উচিত তার ব্যাখ্যা দেয়া।শাসক দল বিজেপি বলছে, এই নিয়োগ পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই সেনাপ্রধান বানাতে পারেন। বিজেপি পলিসি রিসার্চ গ্রুপের অনির্বাণ গাঙ্গুলি বলেছেন, কংগ্রেসের মুখে অন্তত এই ধরনের অভিযোগ মানায় না। বিবিসি।এসআইএস
Advertisement