সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আহত ও অসুস্থ আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজে নিয়োজিত বেশ কয়েকটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে বিদ্রোহীরা। রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, উত্তরাঞ্চলের অবরুদ্ধ আল ফাওয়া ও কেফরায়া থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারের সময় একাধিক বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। বার্তাসংস্থা এপি বলছে, আহত ও অসুস্থ বেসামরিক নাগরিক সরিয়ে নেয়ার কাজে নিয়োজিত অন্তত পাঁচটি বাস পুড়িযে দিয়েছে বিদ্রোহীরা। রেড ক্রিসেন্টের যানবাহনসহ বেশ কিছু বাস বিদ্রোহীদের হাতে অবরুদ্ধ ইদলিব প্রদেশের দুটি গ্রামের প্রবেশপথে পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার সমর্থিত বাহিনী ও জোট পূর্ব আলেপ্পো থেকে বিদ্রোহী ও বেসামরিক নাগরিক সরিয়ে নেয়ার বিনিময়ে ওই দুটি গ্রাম খালি করে দিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। সমঝোতা হলেও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হচ্ছে, সশস্ত্র জঙ্গিরা পাঁচটি বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে বিদ্রোহীরা বলছে, সম্ভবত সরকারপন্থী বাহিনীর পাশে ক্ষুব্ধ জনতা ওই হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, দুটি গ্রাম খালি করার চুক্তিতে সম্মত না হওয়া জঙ্গিগোষ্ঠী আল নুসরা ফ্রন্ট ওই হামলা চালায়নি। আল ফাওয়া ও কেফরায়া গ্রামের বাসিন্দারা মূলত শিয়া মুসলিম। আলেপ্পা ছাড়তে মরিয়া হয়ে আছেন হাজার হাজার আটকা পড়া মানুষ। বিদ্রোহীদের হাতে নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর সর্বশেষ পূর্বাঞ্চলের হাজারো বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিদ্রোহীদের হটিয়ে সরকারি বাহিনী আলেপ্পো নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি জানায়। পরে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চুক্তি হয়েছে বলে জানানো হয়। এর পরের দিন ভেস্তে যায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি। শুরু হয় দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ। দ্বিতীয় দফায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর অস্ত্রবিরতি চুক্তির পর কয়েক হাজার আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়। রোববার দেশটির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আল-ইখবারিয়া বলছে, বিদ্রোহীদের হাতে অবরুদ্ধ ফাওয়া ও কাফরায়া গ্রাম থেকে আহত ও অসুস্থ ২ হাজার বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। এ সময় ওই পাঁচটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, এপি।এসআইএস
Advertisement