জাতীয়

আবাসিক এলাকায় কেমিকেল কারখানা নয় : বনমন্ত্রী

আবাসিক এলাকায় কেমিকেল ও প্লাস্টিকের মতো দাহ্য শিল্প-কারখানা স্থাপন না করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। একই সঙ্গে যেসব দাহ্য শিল্প-কারখানা রয়েছে তা অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলেছেন তিনি।রোববার সচিবালয়ে পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এর সভাপতি হোসেন খালেদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন।   ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প এলাকায় সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) স্থাপনে পিপিপি-এর মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, ঢাকার চারদিকের নদীসমূহ দূষণমুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করা। এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবুজ শিল্পায়ন, বৃক্ষরোপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ব্যবসায়ীদের জন্য `গ্রিন কাড` প্রবর্তন এবং এ ধরনের কার্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের জন্য কম কর সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ঋণের সুদের হার কম করার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন।পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শিল্প-কারখানার জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে।মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর বর্জ অপসারণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। যা ঢাকার চারদিকের নদীসমূহ দূষণমুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করতে কাজ করবে।ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি মো. শোয়েব চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান খান, মো. সবুর খান, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী, ওসমান গনি এবং ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।এসআই/বিএ/পিআর

Advertisement