আন্তর্জাতিক

এবার হাত্রার পুরাকীর্তিতে আইএসের হামলা

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যরা পুরার্কীর্তি ধ্বংসে যেন মেতে উঠেছেন। ইরাকের প্রাচীন পুরাকীর্তিগুলো যেন তাদের হামলার মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছ।কয়েকদিন আগে ইরাকের নিমরুদ নগরীর পুরাকীর্তি ধ্বংসে মেতে উঠে আইএস জঙ্গিরা। এর কয়েকদিনের মধ্যেই তারা হাত্রা নামের আরেক শহরের প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি ভাঙতে শুরু করেছে। মসুল শহর থেকে হাত্রা ১১০ কিলোমিটার উত্তরে।দুই হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো এই শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে ঘোষিত। এখানে আছে পার্থিয়ান সাম্রাজ্যের সুউচ্চ দেয়ালঘেরা প্রাচীন নগরী ধ্বংসাবশেষ, থামওয়ালা ভবন ও তোরণ। এই দুর্গনগরীর প্রতিরক্ষাব্যূহ এমনই ছিল যে রোমান আক্রমণকারীরাও তা ভেদ করতে পারে নি। স্থানীয় একজন কুর্দি নেতা জানান, দেয়ালঘেরা নগরীটির ভেতরে অনেক পুরাকীর্তি রয়েছে এবং আইএসের জঙ্গীরা ইতিমধ্যেই সেখান থেকে সোনা ও রূপার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে গেছে।ইসলামিক স্টেট এর আগে তাদের অধিকৃত মসুল শহরের যাদুঘরে সংগৃহীত প্রাচীন ভাস্কর্য ও মূর্তি ধ্বংস করার ভিডিও অনলাইনে প্রচার করে। এর পর আসিরীয় সভ্যতার কেন্দ্র, খ্রীষ্টপূর্ব ১৩শ শতাব্দীর নগরী নিমরুদের ধ্বংসাবশেষে যেসব ভাস্কর্য ছিল সেগুলোও ভাঙতে শুরু করে তারা। ইসলামিক স্টেটের মতে এগুলো ইসলাম বিরোধী এবং সেজন্যই এসব ভেঙে ফেলা কর্তব্য। তাদের এই কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা করেছেন পুরাকীর্তি বিশেষজ্ঞরা। ইউনেস্কো একে `যুদ্ধাপরাধ` বলে বর্ণনা করেছে।ইরাকের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, হাত্রার প্রাচীন স্থাপত্যগুলো আইএস ধ্বংস করছে বলে তারা খবর পেয়েছেন, কিন্তু তার মাত্রা ঠিক কতখানি তা এখনো স্পষ্ট নয়। স্থানীয় অধিবাসীরা বলেছেন তারা বেশ  কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং আইএসের লোকেরা বুলডোজার নিয়ে কমপ্লেক্সটিতে ঢুকেছে। অবশ্য আইএসের লোকেরা ইরাক ও সিরিয়ার বহু পুরাকীর্তি চোরাই বাজারে বিক্রির ব্যবসাও করে থাকে। এই ব্যবসা তাদের আয়ের অন্যতম উৎস বলেও জানা যায়।এএইচ/পিআর

Advertisement