সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার একদল গবেষক দাবি করছেন, মানুষের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কফি পানের ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। তারা বলছেন, দিনে ৩ থেকে ৫ কাপ কফি পান রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। আর স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন মানুষের হৃদপিণ্ডের সচলতার অন্যতম লক্ষণ বলে বিবেচিত হয়। ২৫ হাজার কর্মজীবী নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ওই গবেষকদল। স্বাস্থ্য বিষয়ক সাময়িকী `হার্ট`-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। কোরিয়ার গবেষকদের এমন দাবির পর `হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় কফি পান উপকারী কিনা`-এ বিতর্ক আবারও সামনে চলে এসেছে।এ বিষয়ে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ ভিক্টোরিয়া টেইলর বলেন, `গবেষণাটি বিবেচনায় নেওয়ার সময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে। কারণ এটি ভিন্ন জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়ানদের ওপর সম্পাদিত হয়েছে।` এমন বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ওই গবেষকরা বলছেন, `এ গবেষণার ফল নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এটিই এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।` তবে এ বিষয়ে আরও বিশদ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্বলিত গবেষণা প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন তারা। গবেষকরা মূলত কর্মজীবী মানুষের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যাবলীর সঙ্গে কফি পানের বিষয়টি বিবেচনায় নেন। এতে দেখা যায়, গবেষণায় অংশ নেওয়া এসব কর্মজীবীর প্রতি ১০ জনে একজনের হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে `ক্যালসিয়াম ডেপোজিটের` উপস্থিতি রয়েছে; যার মানে হল ওই ব্যক্তির হৃদপিণ্ড রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া যেসব কর্মী দিনে ৩ থেকে ৫ কাপ কফি পান করেন তাদের হৃদপিণ্ডের রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে ওই `ক্যালসিয়াম ডিপোজিট` থাকার হার খুবই কম। আর এ কারণে তাদের হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যাও কম হয়ে থাকে। এইচএন/এমএস
Advertisement