১২ আগস্ট জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক যুব দিবসউপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যায় ও দুর্নীতি রুখতে তরুণরা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গঠিত ঢাকা ইয়েস (ইয়ুথ এনগেইজমেন্ট এ্যান্ড সাপোর্ট) গ্রুপ ও সর্বস্তরের তরুণদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। টিআইবি কর্তৃক ঢাকার ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গঠিত ইয়েস গ্রুপের সদস্য, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, টিআইবি কর্মী, বিভিন্ন সমমনা সংগঠনের প্রতিনিধিরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে টিআইবি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের বলেন, “তরুণদের কর্মস্পৃহা ও কর্ম উদ্দীপনার ওপর জাতির সার্বিক উন্নতি নির্ভর করে। দেশপ্রেম ধারণ ও কর্মদক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে আত্ববিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে সুশাসিত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।” প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, বায়ান্ন এর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে এদেশের তরুণসমাজ। জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন প্রকৃতপক্ষে তরুণদের মাধ্যমইে দেখানো সম্ভব। তরুণদের অফুরন্ত সম্ভাবনাকে তাদের নিজেদের জন্য, সমাজের জন্য ও জাতির জন্য কাজে লাগাতে হবে।” উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১২ আগস্টকে আন্তর্জাতিক যুব দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। টিআইবিএর অনুপ্রেরণায় সারাদেশে গঠিত ‘ইয়েস’ কার্যক্রমের আওতায় ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা ২০০৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতাই এ বছর জাতিসংঘ ঘোষিত ‘তারুণ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য’ স্লোগান সামনে রেখে ‘দুর্জয় তারুণ্য দুর্নীতি রুখবেই’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০১৪ পালন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের সুুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত ইয়েস গ্রুপের সদস্যদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করা; মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ ছোবল থেকে তরুণদের মুক্ত রাখতে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ করা; সকল ধরণের পর্ণোগ্রাফি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়রানি নির্মূলে আইনের কার্যকর প্রয়োগ; তরুণ সমাজের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশে সরকারিভাবে ধারাবাহিক ও সমন্বিত উদ্যোগ; খেলাধূলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ এবং সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করা; বেকারত্ব দূরীকরণে সরকারিভাবে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা; এবং তরুণদের জন্য উপযুক্ত উৎপাদনমুখী বাস্তব শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান, নেতৃত্বসহ সম্ভাবনাময় সকল গুনাবলীর বিকাশ সাধনের অনুকূল পরিবেশ সুষ্টি করা।
Advertisement