নিউজিল্যান্ড সফরের আগে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ১০ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ দল। সেখানে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে বাড়তি দুটি সুযোগ পেয়েছেন মাশরাফিরা। আর সেই সুযোগ দুটি হলো- বিগ ব্যাশের দুই সেরা দল সিডনি সিক্সার্স ও সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচই খেলে ফেলেছেন মাশরাফি-মুশফিক-তাসকিনরা। দুই ম্যাচে দুই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে টাইগারদের। প্রথম ম্যাচে সিডনি সিক্সার্সকে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি মুশফিকরা। স্পটলেস স্টেডিয়ামে বিগ ব্যাশ চ্যাম্পিয়ন সিডনি থান্ডারের কাছে ৬ উইকেটে পরাজিত হয়েছেন তারা।জয়-পরাজয় যা-ই আসুক না কেন, এই দুটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে নিউজিল্যান্ড সফরে। ক্রিকেটারদের পরখ করে নিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রথম ম্যাচে যারা খেলেছেন, দ্বিতীয় ম্যাচে তারা সবাই ছিলেন না। পরিবর্তিত দল নিয়েই থান্ডারের মুখোমুখি হয়েছিল বিসিবি একাদশ।প্রথম ম্যাচে সৌম্য সরকারের মিডিয়াম পেস কাজে দিয়েছিল। ১ ওভার বোলিং করে ৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। বল হাতে ভালো করেছেন তাসকিন আহমেদও। এছাড়া সিডনি সিক্সার্স ও সিডনি থান্ডারের পেসাররাও বল হাতে ভালো করেছেন। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের থান্ডারের পেসার প্যাট কামিন্সও ১৯ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের উইকেটে পেস বোলিংটা বেশ কাজে দেবে। সে হিসেবে আসন্ন এই সফরে নজরে থাকবেন বাংলাদেশ দলের পেসাররা। রুবেল-তাসকিন-মোস্তাফিজ-মাশরাফিরা বল হাতে ভালো করতে পারলে বাংলাদেশের জয়ের কাজটা যে সহজ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তারকা এই পেসারদের দিকে তাকিয়ে তাকবে বাংলাদেশ দল। প্রসঙ্গত, কিউইদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবেন মাশরাফিরা। ক্রাইস্টচার্চে ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং-ডে ওয়ানডে দিয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরু করবেন তারা।এনইউ/এমএস
Advertisement