আন্তর্জাতিক

বিশ্বের ক্ষমতাময়ী ১০ নারী

অ্যাঞ্জেলা মার্কেলবিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও জি-৮ সম্মেলনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন এই জার্মান রাষ্ট্রপ্রধান। মার্গারেট থ্যাচারের পর তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এই সুযোগ পান। তিনি ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল জার্মানির মেকলেনবার্গ-ভোরপোমার্ন প্রদেশ থেকে জার্মান সংসদে সর্বাধিক সংখ্যক আসন জয়ের মাধ্যমে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন। মার্কেল জার্মানির ক্রিসচিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। হিলারি ক্লিনটনসারা বিশ্বে সর্বাধিক পরিচিত নারী মুখের তালিকায় সম্ভবত হিলারি ক্লিনটনের নামটাই আগে থাকবে। মার্কিন ফার্স্টলেডিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এ যাবৎকালের মধ্যে জনপ্রিয় ফার্স্টলেডি (১৯৯৩-২০০১) ছিলেন হিলারি। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য থেকে তিনিই প্রথম মার্কিন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পেশায় একজন আইনজীবী হিলারি ক্লিনটন নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। মিশেল ওবামামার্কিন ফার্স্টলেডি বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা পেশায় একজন আইনজীবী ও লেখক। বিশ্বে ফ্যাশন আইকন হিসেবে পরিচিত মিশেল ওবামা দারিদ্র্য, অপুষ্টি, ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছেন। সোনিয়া গান্ধীইতালিয়ান বংশোদ্ভূত সোনিয়া গান্ধী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ (জনসংখ্যায়) ভারতের কার্যত নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নিহত হওয়ার পর রাজনীতিতে এসে দলের হাল ধরেন সোনিয়া। ২০১০ সালেও চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ভারতের ১২৫ বছরের পুরনো নেতৃত্বে আছেন। অং সান সুচিমিয়ানমারের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মানসকন্যা বলে খ্যাত অং সান সুচি। তিনিই একমাত্র নারী যিনি দুদশকের বেশি সময় ধরে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ভুক্তভোগী ও ২০ বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। গত ১৫ বছর ধরে তিনি গৃহবন্দি। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দলের প্রধান সুচি ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান। ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজআর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাদুকরি ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সারা বিশ্বে তিনি সফল শক্ত নেতা হিসেবে পরিচিত। ক্রিস্টিনা আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেস্টর ক্রিচনার স্ত্রী। দিলমা রুসেফব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ তার যোগ্য নেতৃত্বের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দেন এবং মার্কসবাদী শহরে গেরিলা গ্রুপের সদস্য হন। সামরিক এক নায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ১৯৭০-৭২ জেল খাটার পর দল গঠন করেন। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে ব্রাজিল বর্তমানে বিশ্বের ৬ষ্ঠ অর্থনীতির দেশ, যার জিডিপি ২.৪ ট্রিলিয়ন। অপরাহ উইনফ্রেমার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয় টকশো উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে একজন আফ্রো-আমেরিকান বিলিয়নিয়র। ফোর্বস ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তালিকায় তার নাম এসেছে বার বার। অপরাহ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্য মিসিসিপির নিভৃত পল্লীতে এক অবিবাহিত মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। পরে বেড়ে উঠেছেন আরও উত্তরের শহর মিলওয়াকিতে। তিনি নয় বছর বয়সে ধর্ষিত হন। পরবর্তী সময় নিজের যোগ্যতায় উঠে আসেন। বর্তমানে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। তাকে সর্বোচ্চ মানবতৈষী নারী বলা হয়। শেরি সান্ডবার্গজনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের প্রধান অপারেটিং অফিসার সেরি সানবার্গ। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কে এফএমসি সম্মেলনে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বক্তব্য রেখে দুনিয়াজুড়ে প্রশংসিত হন। ইন্দ্রা নুয়িতরল পানীয় পেপসিকো কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান ইন্দ্রা নুয়ি। ২০০৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় নারী সম্মেলনে তিনি অতিথির বক্তব্য রাখেন। তৎকালীন মার্কিন ফার্স্টলেডি মারিয়া শ্রিভার আয়োজিত ওই সম্মেলনে ১৪ হাজার নারী উপস্থিত হন। সূত্র : যুগান্তর এসএইচএ/এমএস

Advertisement