গর্ভপাত ও সারোগেট পদ্ধতি (অন্যের গর্ভে বাচ্চা ধারণ) ব্যর্থ হওয়ার পর সন্তান কোলে না নিতে পারায় একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন সীতালক্ষ্মী (পরিবর্তিত নাম)। কিন্তু নাতনির ভ্রুণ গর্ভে ধারণ করে মেয়ের সেই বাসনা পূর্ণ করেছেন তার মা।গত নভেম্বরে ২ দশমিক ৭ কেজি ওজনের একটি ফুটফুটে মেয়েশিশু সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম দিয়েছেন ৬১ বছর বয়সী ওই নারী। শনিবার ভারতের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।চেন্নাইয়ের আকাশ ফার্টিলিটি সেন্টার ও হাসপাতালের (যেখানে সীতালক্ষ্মী চিকিৎসা নিয়েছেন) চিকিৎসকরা জানান, আইটি ফার্মে কর্মরত ওই দম্পতি ২০১৩ সাল থেকে সারোগেট মাদার খুঁজছিলেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কেএস জয়রানি কামারাজ বলেন, ‘বিয়ের পরপরই সীতালক্ষ্মী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু গর্ভবতীসংক্রান্ত জটিলতার কারণে সাত মাস বয়সে বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসকরা তার জরায়ু বের করে আনেন। দুই বছর পর জানতে পারেন যে তিনি আর বাচ্চা জন্ম দিতে পারবেন না।এরপর শুরু হয় সারোগেট মায়েদের খোঁজ। হাসপাতালে এসে ওই দম্পতি এ ব্যাপারে উপদেশ চান। আগের সারোগেট মায়ের পেছনে ৮ লাখ রুপি খরচও করেন তারা। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হওয়ার পর আত্মীয়দের মধ্য থেকে কাউকে সারোগেট মা ঠিক করার পরামর্শ দেয়া হয়। এ খবরে স্বেচ্ছায় তার নাতনিকে গর্ভে ধারণ করতে সম্মত হন সীতালক্ষ্মীর মা।কিন্তু সমস্যা ছিল ওই নারীর মেনোপজ (ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়া) সময় পেরিয়ে গেছে। এরপর দুই মাস ধরে হরমোন চিকিৎসার মাধ্যমে তার মাসিকচক্র পুনরুজ্জীবিত করেন চিকিৎসকরা। চার মাস পর তার জরায়ুতে ভ্রুণ স্থাপন করা হয়। নয় মাস পর তিনি মেয়েশিশুর জন্ম দেন এবং চার মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে নিজের বুকের দুধ খাওয়ান। সূত্র : ইন্টারনেটএসএইচএ/আরআইপি
Advertisement