দক্ষিণ চীন সাগরে চালকবিহীন একটি মার্কিন ডুবোযান আটক করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, আমেরিকান একটি গবেষণা জাহাজ, ইউএসএসএস বোডিচের কাজের অংশ হিসাবে ওই ড্রোন ডুবোযানটি সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর : বিবিসির।পেন্টাগন কর্মকর্তারা বলেছে, ফিলিপাইনের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় তথ্য সংগ্রহ করছিল চালকবিহীন ডুবোযানটি। তখন চীনের সৈন্যরা একটি ছোট নৌকায় এসে যানটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে পেন্টাগনের দাবি।তারা আরও বলেছেন, ওশেন গ্লাইডার নামের ওই ডুবোযানটি পানির লবণাক্তটা আর তাপমাত্রা পরীক্ষার কাজ করে। ডুবোযানটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চীনের কাছে দাবি জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। তবে এখনো বেইজিং এর তরফ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ চীন সাগর নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে চীন, যদিও তাতে আপত্তি রয়েছে প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের। ওই সাগরে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে চীন, যা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা চলছে। ওই দ্বীপে সামরিক অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে।ওই এলাকা আন্তর্জাতিক জলসীমার অংশ বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র, তার সেখানে সবার যাতায়াতের অধিকার রয়েছে বলে তারা মনে করে।এ মাসের শুরুর দিকে যখন মার্কিন হবু প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের একটি টেলিফোন অভিনন্দন বার্তা গ্রহণ করেন, তখন থেকে নতুন করে উত্তেজনার তৈরি হয়।এতোদিন ধরে যে এক চীন নীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র, নতুন প্রশাসনে তার পরিবর্তন হতে পারে বলে চীনের আশঙ্কা রয়েছে। জেডএ
Advertisement