আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করার অসাধারণ এক রেকর্ড লিখে রেখেছেন তার নিজের নামের পাশে। সাবেক এই ক্রিকেটার এখন কাজ করছেন আইসিসির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) হয়ে চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে।বাংলাদেশের ক্রিকেট গৌরবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই ক্রিকেটারের নাম। অথচ, তিনিই কি না এই প্রথম ব্যাট-প্যাড পরে নামলেন হোম অব ক্রিকেটখ্যাত মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করেছেন এক যুগ আগে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ২০০২ সালে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন আরও কয়েকবছর। কিন্তু মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কখনোই খেলার সুযোগ হয়নি বুলবুলের।২০০৬ সালে শুধুমাত্র ক্রিকেটের জন্য, হোম অব ক্রিকেট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে মিরপুল শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও ওই বছর থেকে শেরেবাংলায় মাঠে গড়াতে শুরু করে। ততদিনে মাঠের ক্রিকেট থেকে অনেক দুরে বুলবুল।কিন্তু ৪৫তম বিজয় দিবসে দারুণ এক সুযোগ পেয়ে গেলেন বুলবুল। এদিন বিজয় দিবস ক্রিকেটে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জুয়েল একাদশের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামলেন ব্যাট করার জন্য। অপরাজিত ৩৬ রানের একটি ইনিংসও খেললেন তিনি। যদিও শহীদ মোস্তাক একাদশের ব্যাটসম্যান মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে হেরে যায় বুলবুলের শহীদ জুয়েল একাদশ।হোম অব ক্রিকেটে এই প্রথম ব্যাট করতে নেমে দারুণ অনুভুতির জন্ম হলো আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মধ্যে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আবাহনীর কোচ হিসেবে কয়েক বছর আগে শেরেবাংলায় অনুশীলন করিয়েছি। সেবার মাঠেও নেমেছি; কিন্তু ক্রিকেটার কিংবা পারফরমার হিসেবে এই প্রথম ব্যাট হাতে মিরপুরের মাঠে নামলাম। তাও বিজয় দিবসের উষালগ্নে। এ অনুভুতি বলে বোঝানো যাবে না। খুবই ভালো লাগার অন্যরকম একটা অনুভুতি।’উল্লেখ্য, আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, এশিয়া হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম দেশে আসলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। গত নভেম্বরে এশিয়ান অঞ্চলের জন্য আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। দেশে এসেই খেলতে নামলেন হোম অব ক্রিকেটে। এক সময় যাদের সঙ্গে খেলেছেন, যারা ছিল তার সতীর্থ আজ তারা কেউ নিজের দলে, আবার কেউ প্রতিপক্ষ। সবচেয়ে বড় কথা, সতীর্থদের সঙ্গে আবার মাঠে নামা। অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করেছে বুলবুলের মধ্যে। বুলবুল বলেন, ‘সত্যি খুব উপভোগ করেছি। এটা ছিল আমাদের একটা মিলনমেলা। পুরনো সতীর্থদের আবার একসঙ্গে পেয়েছি। তাদের সঙ্গে খেলেছি। অন্যরকম ভালোলাগার। তারচেয়ে বড় কথা স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে খেলতে নেমেছি আমরা। আমার বিশ্বাস এই স্পিরিট নিয়েই এ দেশের ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে।’আইএইচএস/
Advertisement