খেলাধুলা

দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে গেলো বাংলাদেশ

১৮তম ওভারেই খেলা শেষ। ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে সিডনি থান্ডার; কিন্তু এরপরও খেলা মাঠে থাকলো বাকি দুই ওভারও। প্রস্তুতি ম্যাচ বলে শেষ দুই ওভারে বোলিং করলেন রুবেল হোসেন এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি। দুই পেসারই আবার এই দুই ওভারে নিয়েছেন একটি করে উইকেট। জয়-পরাজয়ের চেয়ে প্রস্তুতিটাই তো আসল! সেটাই সেরে নিলেন বোলাররা। তবে জয় দিয়ে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করলেও, জয় দিয়ে শেষ করতে পারলো না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পেলেও সিডনি থান্ডারের কাছে হেরে গেলো ৬ উইকেটের ব্যবধানে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১২১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হলো মুশফিকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। জবাব দিতে ৪ উইকেট হারিয়েই, ২ ওভার হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বিগ ব্যাশের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।   নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশ সফরে না আসা সেই ইয়ন মরগ্যানের কাছেই হারলো মুশফিক রহীম অ্যান্ড কোং। ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক আবার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারেরও অধিনায়ক। তার নেতৃত্বেই আজ স্পটলেস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে খেলেছে সিডনি থান্ডার। ইয়ন মরগ্যান আর ভারতীয় অর্জুন নায়ারের ব্যাটে ভর করে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিডনি। মরগ্যান করেন সর্বোচ্চ ৩৩ রান। ১টি ছক্কা এবং ৩টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। এছাড়া রায়ান গিবসন করেন ২৫ রান। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারিতে। বাংলাদেশের পক্ষে পূর্ণ ৪ ওভার বল করে ৩ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। রান দিয়েছেন ২৭টি। দুর্দান্ত বল করেছেন তিনি। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট।১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে থান্ডারের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন জে লেন্টন এবং রায়ান গিবসন। দু’জন মিলে গড়ে পেলেন ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন রুবেল হোসেন। ২৫ রান করা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রায়ান গিবসনকেও সাজঘরে ফেরান তিনি।   লেগ স্পিনার তানভীরের বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেইক ডোরান। শুভাশীষের বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন এইডেন ব্লিজার্ড।সিডনি থান্ডার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি দলের নিয়মিত তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানরা। দলকে নেতৃত্ব দেন মুশফিকুর রহীম। সিডনির গ্রিনপার্কে স্পটলেস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক। টপ অডারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ খুব কম রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের পেসার প্যাট কামিন্স আর ভারতীয় স্পিনার অর্জুন নায়ারের সামনে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, কাজী নুরুল হাসান সোহান আর শুভাগত হোমের দৃঢ়তায় ১২১ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ১ ছক্কা আর ৩ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেন সোহান। আর ১ বাউন্ডারিতে ২৫ রান করেন শুভাগত হোম।

Advertisement

আইএইচএস/পিআর