যে টাইগাররা তাদের ক্রিকেট নৈপুণ্যে আজ বিশ্ব কাঁপাচ্ছেন,তাদের সবার শুরুটা নিশ্চয়ই হয়েছিল পাড়ার গলিতে অথবা এক চিলতে মাঠে কাঠের ব্যাট দিয়ে টেপ প্যাঁচানো টেনিস বল পিটিয়েই। সাকিবের কব্জির জোর আর মাশরাফির হাতের ম্যাজিক- সবকিছুর শুরুতেই ঐ অপেশাদার ব্যাটের ছোট ছোট স্ট্রোক আর টেপ টেনিসের অবিরাম ঘুর্ণন। পেশাদার ক্রিকেটের উপযোগী না হলেও, এই সে দিনও এই ব্যাটই আসতো দেশের বাইরে থেকে। কিন্তু এদেশে ক্রিকেটের দিন ফেরার সাথে সাথে বদলে গেছে সে চিত্রটাও। কচি কচি হাতে ক্রিকেটের স্বপ্নবোনা এই ব্যাট তৈরি হতে শুরু করেছে দেশেই। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরের মূল শহর থেকে প্রায় ২০ কি. মি. দূরে নরেন্দ্রপুরে রীতিমতো গড়ে উঠেছে এই ব্যাট তৈরির ছোট ছোট কারখানা। মিস্ত্রিপাড়ার একেকটা ঘর যেন একেকটা কারখানা এখন। পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ২০০ সদস্য বানাচ্ছেন এই ব্যাট, অংশগ্রহণ করছেন ভবিষ্যতের সাকিব, মাশরাফি গড়ার কাজে। প্রতি শীতের মৌসুমে সারা দেশে তারা যোগান দিচ্ছেন এক লাখের ওপর ব্যাট। তরিকুল ইসলাম এই ব্যাট বানিয়ে, বিক্রি করেই হাল ফিরিয়েছেন সংসারের। তার এবং ফাতেমা বেগমের মতো নরেন্দ্রপুরের আরো অনেকগুলো সংসার চলে এই ব্যাট বিক্রির টাকায়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আজ পৌঁছে যাচ্ছে তাদের হাতে তৈরি ব্যাট। আর টাইগাররা কোনো ম্যাচ জিতলে তো কথাই নেই। এক ধাক্কায় বেড়ে যায় ব্যাটের চাহিদা। নরেন্দ্রপুরের ব্যাটের কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়ে যায় তার সাথে।এসআরজে
Advertisement