কাতারে সংশোধিত শ্রম আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে দীর্ঘদিনের বিতর্কিত কাফালা স্পন্সর আইনের বিলুপ্তি ঘটছে। নতুন আইনে শ্রমিকরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে নতুন এ আইনে। এ ছাড়া কোনো নিয়োগকর্তা যদি শ্রমিকের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেন তাহলে নতুন আইনে গুণতে হবে ২৫ হাজার রিয়াল জরিমানা।উল্লেখ্য, দেশটিতে আজ থেকে নতুন শ্রম আইন কার্যকর হয়েছে। নতুন এই আইনের ফলে কাফালা স্পন্সরের পরিবর্তে শ্রমিকরা চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন। দেশটিতে সব বিদেশি শ্রমিকের নিয়ন্ত্রক তার কাফিল বা স্পন্সর। বেতন ভাতা ঠিক সময়ে না পেলে, কিংবা শোষণের শিকার হলে চাকরি ছাড়া কিংবা অন্যখানে ভাল চাকরির সুযোগ পেলেও কাফিল বদলানোরও সুযোগ নেই। চাকরি ছাড়া কিংবা প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসলে আরোপ হয় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। কাফালা বলে পরিচিত এই ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার পর অবশেষে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কার্যকর হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিক দেশ ত্যাগ করতে চাইলে কাফালা অনুযায়ী এক্সিট ভিসার প্রয়োজন হতো; তবে এখন আর তা প্রয়োজন হবে না। তবে নতুন আইনেও দেশ ত্যাগের জন্য নিয়োগকর্তার অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।এদিকে, দেশটিতে নতুন এ আইনের বাস্তবায়নের সঙ্গে বিদেশিদের জন্য একটি আপিল কমিটি গঠন করা হয়েছে; মঙ্গলবার থেকেই এ কমিটি কাজ শুরু করেছে।কাফালা স্থগিতের ফলে কাতারে কোনো নিয়োগকর্তা যদি শ্রমিকের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে তাহলে নতুন আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। শ্রমিকের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করলে মালিককে গুণতে হবে ২৫ হাজার কাতারি রিয়াল (৬ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার); এর আগে কাফালার আওতায় এ জরিমানার পরিমাণ ছিল মাত্র ১০ হাজার রিয়াল। সূত্র : আরব নিউজ।এসআইএস/এমএস
Advertisement