হরতাল-অবরোধের মধ্যে পেট্রলবোমায় দগ্ধ আরো দু’জন বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। রাজশাহী ও চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বুধবার রাতে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ অটোরিকশার যাত্রী রণজিৎ নাথ (৩৭) বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. স্বরূপ চক্রবর্তী জানান, অবস্থার অবনতি হলে রণজিৎকে বৃহস্পতিবার সকালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানেই রাতে তার মৃত্যু হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া মাদ্রাসা এলাকায় অটোরিকশায় দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন রণজিৎ নাথ। এই হামলায় অটোরিকশা চালকও দগ্ধ হন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে পেট্রলবোমায় বুধবার রাতে দগ্ধ হয়েছিলেন ট্রাক চালকের সহকারী সেলিম শেখ (৪০)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান। সেলিম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার জালমাছমারি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, পেট্রলবোমায় সেলিমের শরীরের ৫০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। সেলিমের চাচা ইসমাইল জানান, বুধবার নওগাঁর মহাদেবপুর থেকে আলু নিয়ে শিবগঞ্জ ফিরছিলেন সেলিম। গোমস্তাপুর মাদ্রাসার মোড়ে পেট্রলবোমা হামলা হয় তার ট্রাকের ওপর। সেলিমের সঙ্গে ট্রাকচালক ফিরোজ উদ্দিন (৩০) ও আলু ব্যবসায়ী সাহেব আলীও (৪০) দগ্ধ হন। গত দুই মাস ধরে ২০ দলের অবরোধ-হরতালে এ পর্যন্ত শতাধিক নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই মারা গেছেন পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে।এসআরজে
Advertisement