তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত সেপ্টেম্বরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে হোম অব ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত তার খেলা হয়নি। অবশেষে মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামলেন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ এই সেঞ্চুরিয়ান। সেখানেই আফিফ হোসেনদের বিপক্ষে ব্যাট করে তুলে নিলেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। ১৩২ বল খেলে ১৪টি বাউন্ডারিতে করেছেন ১১৩ রান। শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ খেলতে আগামী মঙ্গলবার দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সে উপলক্ষেই আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান। এরপর অনুষ্ঠিত হলো অফিশিয়াল ফটো সেশন। সব শেষে বিকেলে অনূর্ধ্ব-১৯ দল নামলো দিবা-রাত্রির প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। সেখানেই তারা মুখোমুখি হয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন লাল দলের। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অন্তত ৫ জন বোলার খেলেছেন আশরাফুলের দলে। তার বিপক্ষে ছিলেন সদ্য বিপিএল মাতানো আফিফ হোসেন। একজন লেগ স্পিনার এবং বেশ কয়েকজন ভালোমানের পেসার।আশরাফুলের দল ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে করেছে ২২৪ রান। এর মধ্যে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৩২ বলে ১১৩ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সেঞ্চুরির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আশরাফুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর দেশের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে কিছু টুর্নামেন্টে একাধিক সেঞ্চুরি করেছি। তবে ওসব সেঞ্চুরির সঙ্গে আজকের এই সেঞ্চুরির কোনই তুলনা হয় না। কারণ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠে, কোন প্র্যাকটিস ছাড়াই এই প্রথম হোম অব ক্রিকেট শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলাম এবং সেঞ্চুরি করলাম, তাও জাতীয় যুব দলের বিপক্ষে। খুবই ভালো লাগতেছে। আফিফ বল করেছে, আরও একটা লেগ স্পিনার ছিল। তাদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করতে পেরে দারুণ উদ্বেলিত এবং পুলকিত। এই শতরান নিশ্চিত সামনে এগুতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’ অনূর্ধ্ব-১৯ দল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মূল ৫ জন বোলার খেলছে আমার দলে। তবুও কয়েকজন পেসারকে দেখলাম খুব জোরে বল করে। স্পিনাররাও দারুণ। এদেরকে ঘষে-মেজে তৈরি করে তুলতে পারলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল বলেই মনে করি আমি।’আইএইচএস/
Advertisement