খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাকিস্তান জাতীয় দলের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন জুনায়েদ। তবে ইনজুরি তাকে ঠেলে দিয়েছিল মাঠে বাইরে। এরপর নিজেকে হারিয়ে খোঁজার শুরু। গত বছরের জুনে পাকিস্তানের জার্সিতে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই টেস্ট ম্যাচটিতে দুই ইনিংস মিলে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছিলেন।এখন পাকিস্তান জাতীয় দলে উপেক্ষিত ক্রিকেটারের নাম জুনায়েদ। তবে আশা ছাড়ছেন না ২৬ বছর বয়সী পেসার। আপাতত নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। জানেন, ভালো খেলেই নির্বাচকদের দৃষ্টি কাড়তে হবে তাকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাতানো জুনায়েদ তাই জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।বিপিএলের চতুর্থ আসরে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলেছেন জুনায়েদ। বল হাতে আলো কেড়েছেন এই পাকিস্তানি। এবারের আসরে তার শুরুটাও ছিল দারুণ। নিজের প্রথম ম্যাচেই রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে চার উইকেট নেন জুনায়েদ। গোটা আসরেই ছিল তার বোলিং তাণ্ডব। এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে পারতেন। কিন্তু ফাইনালের আগে খুলনা বিদায় নেয়ায় সেটা আর হলো না। ২২ উইকেট শিকারি ডোয়াইন ব্রাভোই চতুর্থ আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ফাইনাল মাঠে গড়ানোর আগে অবশ্য দুজনেরই ছিল সমান উইকেট, ২০টি করে।বিপিএল থেকে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়া জুনায়েদ খান বলেন, ‘এবারের বিপিএলে ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। প্রথম ম্যাচেই চার উইকেট পেয়েছিলাম। এভাবে শুরু হলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। ২০১৩ সালে জাতীয় দলে খেলে যেভাবে আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম, এবার বিপিএলেও এমনটাই পেলাম। ভালো লাগছে। আমি নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছি। প্রস্তুত করছি। উন্নতি করছি। পরিশ্রম অব্যাহত রাখছি। বিপিএলের পারফরম্যান্সই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।’ এদিকে বিপিএলে জুনায়েদ খানের বোলিং দেখে মুগ্ধ হয়ে টুইট করেছিলেন ওয়ামিস আকরাম। তিনি লিখেছিলেন, ‘সত্যিই আমি জুনায়েদের বোলিংটা উপভোগ করছি। সে মেধাবী বোলার। দারুণ পেস। ছন্দে ফিরেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তার বোলিংয়ের বৈচিত্র্য। আশা করছি, নির্বাচকরা তার বোলিংটা নজরে রাখছে।’ ওয়ামিস আকরামের টুইটবার্তায় রোমাঞ্চিত জুনায়েদ। বলেন, ‘আমার বোলিং নিয়ে ওয়াসিম আকরাম যেভাবে বলেছেন, তাতে আমি ভীষণ আশাবাদী। আসলে আমি বোলিংয়ে বৈচিত্র্য খুুঁজে পেয়েছি এখানে (বিপিএল)। ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তীদের থেকে এমন প্রশংসা পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসটা আরো বেড়ে গেলো।’এনইউ/এমএস
Advertisement