ঢাকা ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ১৩টি ক্লাবে জুয়া জাতীয় খেলা যেমন- অর্থের বিনিময়ে তাস, ডাইস ও হাউজি খেলার ওপর হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা আপাতত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের করা আবেদন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১১ ডিসেম্বরের (রোববার) মধ্যে ক্লাবগুলোর পক্ষে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাড. এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, অ্যাড. রেজাউল করিম, অ্যাড. চৌধুরী মোহাম্মদ রেদোয়ানে খুদা। অপরদিকে ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদি হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি নামিদামি ক্লাবে জুয়া জাতীয় খেলার উপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুকের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যেখানে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তার আয়োজকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ঢাকা, খুলনা ও সিলেট এবং র্যাববের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।ক্লাবগুলো হলো- ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমণ্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।হাইকোর্টের আদেশের পর আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব জানিয়েছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এসব যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়। এফএইচ/এমএমজেড/আরআইপি
Advertisement