আল্লাহ তাআলার অসংখ্য কুদরত ও নিদর্শনে ভরা এ সৃষ্টি জগত। যা নিয়ে সামান্য চিন্তা-ভাবনা করলেই তা অনুমিত হয়। আর এ সব সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা ভাবনায় বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হন। যাতে আল্লাহ তাআলার অনেক হিকমত রয়েছে।সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা ও গবেষণা মানুষকে অন্যায় পথ পরিহারে অনুপ্রাণিত করে। তারপরও মানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর বিধান লংঘন করে এবং আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হয়ে বেপরোয়া জীবন-যাপন করে।বান্দা যাতে আল্লাহর অবাধ্য হয়ে জাহান্নামে যেতে না হয়, তার জন্য প্রার্থনা করা ঈমানদারগণের কর্তব্য। ঈমানদারগণ যাতে অন্যায় ও পাপাচার থেকে মুক্তি পায়, হাশরের ময়দানে লাঞ্ছিত না হয় এবং ঈমানের সহিত মৃত্যু হয়। সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি শিক্ষা দিয়ে কুরআনে উল্লেখ করেছেন-উচ্চারণ : রাব্বানা মা খালাক্বতা হা-জা বাত্বিলান, সুব্হানাকা ফাক্বিনা আ’জাবান নার। রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন নারা ফাক্বাদ্ আখ্ঝাইতাহু, ওয়া মা লিজজ্বালিমীনা মিন্ আনছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিয়াই ইউনাদি লিলঈমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম, ফা আমান্না, রাব্বানা, ফাগ্ফিরলানা, জুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আ’ন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মাআ’ল আবরার। (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-৯৩)অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর; তাকে অপমানিত কর; আর জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সব গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সব দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-১৯৩)আমলের উৎসরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য রাতে ওঠে এ আয়াত সহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। যা পড়া সুন্নাত। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াতের মাধ্যমে তাঁর কাছে দোয়া করে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement