আগের দিন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ঢাকা ডায়ামাইটসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন শফিউল ইসলাম। ফলে বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তাকে পায়নি খুলনা টাইটান্স। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটি দুঃসংবাদ। এ ইনজুরির কারণে প্রায় চার থেকে ছয় সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে। তাই নিউজিল্যান্ড সিরিজে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিতভাবেই মিস করছেন তিনি। তার পরিবর্তে দলে ঢুকেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার শফিউল ইনজুরিতে পড়েছে, আজকে (বুধবার) আমরা ওর স্ক্যান করিয়েছি, সেখানে যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে সুস্থ হতে যদিও এটা আগে থেকে বলা মুশকিল। প্রস্তুতির জন্য ওর পরিবর্তে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিচ্ছি। তবে এর মধ্যে টেস্টের আগে যদি ও রিকোভারি করতে পারে তাহলে টেস্টের জন্য ওকে বিবেচনা করবো।’ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ইনজুরি প্রবণ শফিউল ইসলাম। চলতি মৌসুমে আছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাই শফিউলকে জাতীয় দলে চাইছেন প্রধান নির্বাচক, ‘টেস্টের আগে যদি ও সুস্থ হয় তাহলে ওকে বিবেচনায় আনা হবে। কারণ এ মুহূর্তে আমাদের যতগুলো পেস বোলার আছে তাতে শফিউলের অবস্থান সবার উপরে। পারফরম্যান্স সন্তোষজনক, বিপিএলেও আপনারা দেখেছেন। ও যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে আমাদের দলের জন্য তত ভালো।’এবারের বিপিএলে টানা ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন শফিউল। এর আগে টানা এতোগুলো ম্যাচ গত সাত আট বছরের মধ্যে খেলেননি বলে জানান নান্নু। টানা খেলার কারণে এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি, ‘১৩টা ম্যাচ এক টানা খেলে গেছে, এটা কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার ওর জন্য। আমার মনে হয় গত ৭ থেকে ৮ বছরে এক টানা ১৩টা ম্যাচ ও খেলেনি। সেই দিকে ওর পেশির উপর ওর খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল, কারণ এতোগুলো ম্যাচ খেলেছে। তারপরও বোলিং করতে গিয়ে ইনজুরি হয়ই, আমার বিশ্বাস ও তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে।’উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ওয়ানডে দিয়ে শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সফরের সিরিজ। তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার পর টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। টেস্টের আগেই শফিউলকে পাওয়ার আশা করছেন নান্নু, ‘হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি এ মুহূর্তে চার সপ্তাহ না ছয় সপ্তাহ লাগবে বলা যায় না। হয়তো আড়াই সপ্তাহেই ঠিক হয়ে যেতে পারে। টেস্টে ম্যাচ তো শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে একটা সুযোগ আছে।’আরটি/এনইউ/আরআইপি
Advertisement