মতামত

বিদেশি নাগরিকদের অপতৎপরতা বন্ধ করুন

দেশে বিদেশি নাগরিকদের অপরাধে জড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। এর আগে এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় বিদেশিরা জড়িত থাকায় তাদের অপরাধের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সে সময় অনেককে গ্রেফতার করা হয়। দুঃখজনক হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব অপরাধীদের অপরাধ কর্মকাণ্ড থেমে নেই। গত সোমবার দিবাগত রাতে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর ও দক্ষিণখান এলাকা থেকে ৭ নাইজেরিয়ানসহ ৮ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। অপরাধীদের আটক করার বিষয়টি স্বস্তির। এদের অপরাধ কাণ্ড বন্ধ করতে হলে কঠোর শাস্তির কোনো বিকল্প নেই। দুঃখজনক হচ্ছে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকরা  হেন অপরাধ নেই যা করছে না। অস্ত্র, মাদক ও সোনা চোরাচালান, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, জাল নোট তৈরি, এমনকি জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গেও তারা জড়িত। তারকা হোটেলে বসে বিদেশে লোক পাঠানো থেকে শুরু করে বাংলাদেশে নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আশ্বাস ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন অনেকে। বিদেশি এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে দেশের কিছু অসাধু মানুষও। লটারির নাম করেও চলছে প্রতারণা। অভিনব প্রতারণার আশ্রয়ও নেয় কেউ কেউ। সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা কিছু বিদেশি নাগরিক বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের উদ্দেশে  রেন্ট এ কার থেকে বেশি ভাড়ায় প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া নেয়। এরপর তারা দেশের বিভিন্ন পেট্রল পাম্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিময়ের সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথোপকথন ও হাসি রহস্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে। কর্মচারীরা বিদেশি বলে তাদেরকে সহজেই আস্থায় নেয়। এরপর অভিনব কায়দায় টাকা বদলানো বা ভাঙতি করার অজুহাতে কর্মচারীদের বোকা বানিয়ে ক্যাশবাক্সে থাকা টাকা চুরি করে ওই এলাকা দ্রুত ত্যাগ করে। বিদেশিদের প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়েছেন। এদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে যে কোনো মূল্যে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গত এক বছরে দুই শতাধিক বিদেশি গ্রেফতার হলেও অনেকেই আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? বের হয়ে অনেকেই আবার অপরাধকাণ্ডে জড়িযে পড়ে। কাজেই অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে এদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। বিদেশিদের অপরাধ কর্মে দেশীয় লোকজন যারা সহযোগিতা করে তাদের বিরুদ্ধেও নিতে হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা। বৈধ-অবৈধ যে কোনো ধরনের বিদেশি নাগরিকদের অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। এইচআর/পিআর

Advertisement