দেশজুড়ে

পবার পৌর মেয়র গফুরের লাশ মিললো আজিমপুর গোরস্থানে!

রাজশাহী পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গফুরকে হত্যার পর ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছিলো। কথিত চিকিৎসক জান্নাতুন সালমা মীমকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পবা থানা পুলিশের একটি দল আজিমপুর গোরস্থানে পৌঁছায়। বিকেলে তার লাশ উত্তোলন করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, আজিমপুর গোরস্থানের রেজিস্ট্রি খাতায় মেয়র গফুরের মৃত্যু ৩ জানুয়ারি ও দাফন ৬ জানুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মীম মেয়র আবদুল গফুরকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। তবে পরপর দু’দিন আদালত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার সময় বিষয়টি অস্বীকার করেন মীম। ওসি তদন্ত আরও জানান, আদালতে বিষয়টি অস্বীকার করায় সোমবার আরও সাত দিনের রিমান্ড বাড়িয়ে তার দেওয়া তথ্যনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। মঙ্গলবার দুপুরে আজিমপুর গোরস্থানে মীমকে নিয়ে উপস্থিত হলে গোরস্থানের কেয়ারটেকার মেয়র গফুরকে দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কথিত চিকিৎসক মীম গোরস্থানে মেয়র গফুরকে তার ভাই হিসেবে পরিচয় দেয়। এলাকার স্থানীয় ইমাম হাফিজুল ইসলাম পুলিশকে জানিয়েছেন, মীম তাদেরকে বলেন ৩ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ভাই আবদুল গফুর মারা গেছেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের একটি মৃত্যু সনদও দেখায়। পরে ৬ জানুয়ারি জানাজা পড়িয়ে আজিমপুর গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। তবে ওই মৃত্যু সনদ বর্তমানে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন মীম। তাই ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর ঢামেক হাসপাতালের ভুয়া মৃত্যু সনদ দেখিয়ে কৌশলে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে লাশ দাফন করা হয়েছে।  এক প্রশ্নের জবাবে ওসি তদন্ত আবুল কালাম বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আগামীকাল বুধবার তারা লাশ নিয়ে রাজশাহী ফিরবেন। এর পর হত্যার রহস্য জানাবেন।এর আগে নওহাটা পৌরসভার মেয়র গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে তার সারাসরি যোগাযোগ হয়। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তার মোবাইল থেকে বিভিন্ন মোবাইলে ম্যাসেজ আসতে থাকে। এর পর থেকে তার ফোন বন্ধ। শেষ ম্যাসেজে বলা হয়, ‘এখন আমাকে হারালে’। পরে থানায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে কথিত চিকিৎসক জান্নাতুন সালমা মীমকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। পরে ৩১ জানুয়ারি মীমের দু’বোন নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে নওগাঁ ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।এমএএস/পিআর

Advertisement