খেলাধুলা

শেরেবাংলায় পুলিশের সঙ্গে ঢাকার সমর্থকদের হাতাহাতি

বিপিএল মানেই তুমুল উত্তেজনা। মাঠের ভেতর যেমন চার-ছক্কার ধুন্দুমার লড়াই চলতে থাকে, তেমনি গ্যালারিতে সমর্থকদের মধ্যেও বিরাজ করে তুমুল উত্তেজনা। তবে এবার উত্তেজনায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলো মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে। পুলিশের সঙ্গে ঢাকা ডায়নামাইটসের একদল সমর্থকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।আজ শুরু হয়েছে ফাইনালে ওঠার লড়াই। দিনের প্রথম ম্যাচ ছিল এলিমিনেটর রাউন্ড। চিটাগাং ভাইকিংসকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে রইল রাজশাহী কিংস।এলিমিনেটর রাউন্ডের পর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল প্রথম কোয়ালিফায়ার। এই ম্যাচে মুখোমুখি ঢাকা ডায়নামাইটস আর খুলনা টাইটান্স। ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগেই ঘটে গেলো সমর্থক-পুলিশের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাটি। শেষ পর্যন্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও, উত্তেজনা বিরাজ করছে গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে।তবে কী কারণে সমর্থক-পুলিশ হাতাহাতি হলো সেটা পরিস্কার জানা যায়নি। যদিও এ বিষয়ে দু’ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এক পক্ষের দাবি, ঢাকা ডায়নামাইটসের সমর্থকরা গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের সামনের অংশে বসতে চেয়েছিল। সেখানে আগে থেকে বসেছিল নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত একদল পুলিশ সদস্য। ঢাকার সমর্থকরা এসে তাদেরকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি এবং শেষ পর্যন্ত সেটা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।আরেকটা পক্ষের দাবি, ঢাকা ডায়নামাইটসের সমর্থকরা তাদের দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিল; কিন্তু এতে পুলিশ বাধা দেয়। এর ফলেই হাতাহাতির সূত্রপাত। হাতাহাতির সময় ঘটনাস্থলে ঢাকা ডায়নামাইটসের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাকেও দেখা গিয়েছিল। তারা সেখানে কেন গিয়েছিলেন, তা নিয়েও পরস্পর বিরোধী বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। এক পক্ষের দাবি, ঘটনা থামাতেই সেখানে গিয়েছিলেন ঢাকার কর্মকর্তারা। অন্য পক্ষের দাবি, ঘটনা থামাতে নয়, আসলে তারাও বিবাধে জড়িয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে।

Advertisement

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘দুই পক্ষেরই সঙ্গেই বসা হয়েছে এবং তাদের বক্তব্য শুনছি আমরা। যেহেতু বিষয়টা তদন্তাধীন, প্রচুর আইউইটনেসও আছে। সুতরাং, এ বিষয়ে খুব বেশি কিছু এখন বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের বিশ্বাস- প্রকৃত দোষি কারা এটা খুঁজে বের করা যাবে এবং বিষয়টা যাতে সুষ্ঠু সমাধান হয় সে জন্য আমরা বেশ চেষ্টা চালাচ্ছি।’ আইএইচএস/এমএস