জাতীয়

চিকিৎসকরা সমাজে নিন্দিত, নন্দিত নয় : ডা. প্রাণ গোপাল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, বর্তমানে চিকিৎসকরা সমাজে নিন্দিত, নন্দিত নয়। প্রাচুর্য্যতা হলো অভিশাপ, বিলাসী জীবনের চেয়ে সাদামাটা জীবন অনেক বেশি মূল্যবান। শুধু অর্থের পিছনে না ছুটে কীভাবে চিকিৎসা পেশার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকে চিকিৎসকদের দৃষ্টি দিতে হবে।মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে সমগ্র দেশের মেডিক্যাল শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের অভিপ্রায়ে মার্চ ২০১৫ সেশনে ভর্তিকৃত রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের বরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রাণ গোপাল বলেন, সততা, আন্তরিকতা, দায়বদ্ধতা, সময়ানুবর্তিতা, নিষ্ঠা, রোগীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও সেবার মাধ্যমে রোগীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে চিকিৎসকদের প্রতি রোগী ও সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা দূর করে চিকিৎসা পেশার হারানো মর্যাদা ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।তিনি বলেন, একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে যখন ডাক্তারের কাছে আসেন, তখন ওই রোগী মনে করেন উপরে আছেন তার মহান আল্লাহ বা ঈশ্বর আর নীচে (পৃথিবীতে) আছেন তার ডাক্তার। রোগীদের এই মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির সঠিক মর্যাদা দিতে হবে।ভাইস চ্যান্সেলর আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসা শিক্ষার বিষয়ে মেধার মূল্যায়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল ধরণের পরীক্ষায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে অর্জিত জ্ঞানকে প্রজ্ঞায় পরিণত করে রোগী ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।বেসিক চিকিৎসা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, প্রকৃত চিকিৎসক হতে হলে তাকে আগে প্রকৃত মানুষ হতে হবে। প্রকৃত মানুষ হওয়া ছাড়া প্রকৃত চিকিৎসক হওয়া যায় না। রোগীরা ঈশ্বরের পরেই চিকিৎসকদের স্থান দিয়ে থাকেন। তাই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসা পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকেই সততা, ত্যাগ, সুন্দর আচরণের মাধ্যমে চিকিৎসকদের রোগীর দেয়া সেই সম্মানের মর্যাদা রাখতে হবে।অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সর্বশেষ আবিষ্কার, সর্বশেষ তথ্যাবলীর সঙ্গে যুক্ত থেকে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে এই পরিচিতি পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. ডা. রুহুল আমিন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ জুলফিকার রহমান খান, সার্জারি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ডেন্টাল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোঃ আলী আজগড় মোড়ল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোঃ ইসমাইল খান, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিউর রহমান, রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী ডা. ইমরান সরকার, ডা. সৈয়দ হোসেন সাঈদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএসএমএমইউ’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।আরএস/আরআই

Advertisement