বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় এর পাঠদান চলছে স্থানীয় একটি মন্দিরে।২০১২ সালে বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও আজো এর সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে মন্দিরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালাচ্ছেন।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও আজো তার কোনো সুরাহা হয়নি।জানা গেছে, ১৯৭২ সালে বীণাপানি রেজিস্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০১৩ সালে ওই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। জাতীয়করণ হওয়ার এক বছর পূর্বেই বিদ্যালয়টির ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। তখন থেকেই ছাঁদের পলেস্তরা ও ইট খসে পড়ে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতও হয়। এসব ঘটনার পর উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রাখতে বলা হয়। এরপর থেকেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাশের হোগলাপাশা জ্ঞানপাড়া সার্বজনীন হরি মন্দিরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শুভংকর চন্দ্র হাওলাদার জাগোনিউজকে জানান, বিদ্যালটির জন্য নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন করা হয়েছে বহুবার। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেনা।বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র নোমান জানান, খোলা মন্দিরে সব ছাত্রছাত্রীদের এক সঙ্গে ক্লাশ নেওয়ায় আমরা শিক্ষকদের পাঠে মনোযোগি হতে পারিনা।এ ব্যাপারে বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মিত্র জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি তিন বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অনেকবার ভবন নির্মাণের জন্য বলা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঝুঁকি এড়াতে আমরা মন্দিরে কার্যক্রম চালাচ্ছি।এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিন্দ্রনাথ হাওলাদার জানান, বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভার রেজুলেশনসহ প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।এমএএস/আরআই
Advertisement