অর্থনীতি

ডিএসইতে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা ছাড়াল

মঙ্গলবারের ধারাবাহিকতা বুধবারও বজায় রাখলো দুই পুঁজিবাজার। সূচকের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে উভয় বাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিএসই\\\\`তে সূচক চলে ঊর্ধ্বগতিতে। বুধবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় ১০ পয়েন্ট।  এ সময় প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই’র লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা ছাড়ায়। অপর বাজার সিএসই\\\\`তেও চলে একই অবস্থা। ফলে কিছুটা হলেও বিনিয়োগকারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল বেলা সূচক চলে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। সারাদিন উঠানামা করলেও নিচে নামেনি প্রধান সূচক। লেনদেন শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বগতি ঠিক থাকে। দিনশেষে শেষে সূচক দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪০৩ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হয় ৩৩৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার। যা গতকালের চেয়ে ৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি।বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই\\\\`তে অধিকাংশ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। টানা দরপতন থেকে মুক্তি পায় সিমন্ট খাত। বুধবার সিমেন্ট খাতের সবগুলো কেম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। প্রকৌশল, আর্থিক, টেক্সটাইল খাতের শেয়ারের দর বাড়ে সমানতালে। এর প্রভাব পরে সমগ্র বাজারে। বাজেটে বিনিয়োগকরীদের কিছু প্রস্তাব পাশ হতে পারে এবং আর্থিক কোম্পানি বাজারে লেনদেন বাড়ানোর ফলে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ২০০টি, ৭৩টি কোম্পানির শেয়ারের দর দর পড়ে যায় এবং অপিরবর্তিত থাকে ২৪টি কোম্পানির। মোট লেনদেনে অংশ নেয় ২৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক গত দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেড়েছে। এ বাজারেও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে যায়। এ সময় সূচক ছিল ১৩ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে। মোট লেনদেনে অংশ নেয় ২০৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুাল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বাড়ে ১৩২ টির, দর কমে ৫২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৪ টির। এ বাজারে লেনদেন হয় ২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার।ডিএসই\\\\`তে লেনদেনে শীর্ষে থাকা কোম্পানি হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড, গ্রামীণ ফোন, বেক্সিমকো, স্কয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বিএসসি, এসিআই, সামিট পাওয়ার, বিএসআর এম স্টিলস লিমিটেড এবং বেক্সিমকো ফার্মা।

Advertisement