হিমালয় পর্বতমালা এবং মালভূমির দেশ ভুটান। এই দেশটি ভারতী উপমহাদেশের হিমালয় পর্বতমালার পূর্বাংশে অবস্থিত। ভুটান শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ভূ শব্দ থেকে যার অর্থ উঁচু ভূমি। ভুটানের রাজধানীর নাম থিম্পু। নেপালে যেমন আছে নানা প্রজাতির মানুষ তেমনি তাদের ভাষাতেও আছে ভিন্নতা। সেইসাথে তাদের ফ্যাশন আর লাইফস্টাইলে আছে নানা বৈচিত্র। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফ্যাশনে জাগোনিউজের আজকের আয়োজন ভুটানের ফ্যাশন বৈচিত্র্য নিয়ে।১৯৮৯ সাল থেকে ভুটানে সবার জন্য পোশাক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। তাদের পোশাকের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি, তাদের চিন্তাধারার একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। ঐতিহ্যগতভাবে পেয়ে আসা পোশাক ভুটানের মানুষ সেই প্রাচীনকাল থেকেই পরে আসছে। যদিও ঐতিহ্যগত পোশাকগুলো বর্তমানে মেশিনে তৈরি করা হচ্ছে। হাতে বোনা ঐতিহ্যবাহী পোশাক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার পাশাপাশি অফিসে-আদালতেও পরে যাওয়া যায়। বিয়ে থেকে শুরু করে জন্মদিন, কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানেও এই হাতে বোনা পোশাক পরে যাওয়া হয়। ভুটানের মানুষ মূলত তাদের এই হাতে বোনা পোশাকের মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্যকে সব জায়গাতে ফুটিয়ে তুলতে পছন্দ করে।মেয়েদের ক্ষেত্রে হাতে বোনা যে পোশাকটি বানানো হয় তার নাম কেরা। এই পোশাকটি পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা। কেরা ফিনলি কাপড় থেকে বুনে তৈরি করা হয়। একটি পোশাকের মাঝে থাকে নানা রঙের মেলা। কেরা পোশাকের ভেতরে পরা হয় ওঞ্জু নামের ব্লাউজ। এটি কাঁধ পর্যন্ত বিস্তৃত। পোশাকের রঙ এবং কাপড় নির্ভর করে সমাজে মেয়েটির অবস্থান অনুযায়ী। এই পোশাকের উপর সচারচর একটি জ্যাকেট পরা হয়। যার নাম টেগো। পোশাকের পাশাপাশি তারা নানা ধরনের পাথর দিয়ে গলার মালা তৈরি করে থাকে। এসব পাথরের মধ্যে আছে কোরাল পাথর, মিক্তা এবং মূল্যবান আকীক পাথর।পুরুষেরা যেই পোশাকটি পরে থাকেন তার নাম গো। এটি কেরার মতো লম্বা এবং এটি কোমড়ের সাথে বেল্ট দিয়ে বেধেঁ রাখা হয়। কেরা পোশাকের উপরে একটি থলি রাখা হয়, যাতে পুরুষেরা সুপারিসহ নানা কাজের বস্তু রাখতে পারেন। এইচএন/এমএস
Advertisement