খেলাধুলা

জয় দিয়েই বিপিএল শেষ করলো মাশরাফির কুমিল্লা

‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’- এই আপ্ত বাক্যটা আর কাজে লাগলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্ষেত্রে। আগেরদিনই বরিশাল বুলস রংপুরকে জিতিয়ে দিয়ে বিদায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল কুমিল্লার। আজ ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তবুও এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে রংপুর রাইডার্সকে ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দিলো গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। যে পারফরম্যান্স বিপিএলের শুরু থেকে প্রয়োজন ছিল, সেটা তারা করলো বিপিএলের একেবারে শেষে এসে। ঢাকায় তৃতীয় পর্বে এসে টানা চারটি ম্যাচ জিতেও শেষ চারে উঠতে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হলো গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে।নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ কুমিল্লা মুখোমুখি হয়েছিল রংপুর রাইডার্সের। শেষ চারে যেতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে রংপুরকে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে টস জিতে মাশরাফিদেরকেই ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর। ব্যাট করতে নেমে নাঈম ইসলামদের সামনে ১৭১ রানের বিশাল লক্ষ্য বেধে দেয় কুমিল্লা।জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে থেমে যেতে হলো রংপুর রাইডার্সকে। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হারতে হলো রংপুরকে।জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রংপুরের আফগানি ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ দারুণ সূচনা এনে দেন দলকে। একের পর এক ছক্কা-বাউন্ডারিতে মাতিয়ে তোলেন গ্যালারি। যদিও অপর প্রান্তে পুরোপুরি নিষ্প্রভ সৌম্য সরকার। দলীয় ৪৮ রানে আউট হন সৌম্য। এরপর মোহাম্মদ মিথুনকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। লিয়াম ডসনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান নাবিল সামাদ। ডসনের পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শাহজাদকেও বোল্ড করে কুমিল্লায় জয় নিশ্চিত করেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শহিদ আফ্রিদি সাময়িক ঝড় তোলেন। ৩টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কা মেরে কিছুটা মাঠ গরম করে তোলেন তিনি। তবে রশিদ খানের বলে লিটন দাসের হাতে আফ্রিদি স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় রংপুরের। আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ৩৮ রান করেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার।ঝড় তুলেছিলেন জিয়াউর রহমানও। ২২ বলে ১ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। যদিও শেষ মুহূর্তে সঙ্গী আর বলের অভাবে রংপুরকে জেতাতে ব্যর্থ হলেন তিনি। এর মাঝে নাঈম ইসলাম ১৩ বলে ১৪ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬২ রানেই থেমে যায় রংপুরের ইনিংস।আফগান স্পিনার রশিদ খান নেন ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মাশরাফি এবং নাবিল সামাদ। ১ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। আইএইচএস/পিআর

Advertisement