বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে মালয়েশিয়ায় ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট সামিট শুরু হচ্ছে কাল (সোমবার)। সামিটে বাংলাদেশের বিনিয়োগ, পরিবেশ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। কুয়ালালামপুর রয়েল চুলান হোটেলের বলরুমে এ সামিট শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সামিটে যোগ দিতে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন।জানা গেছে, প্রতি বছর মালয়েশিয়া ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। আমদানি করে ১১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এর মধ্যে দেশটিতে বাংলাদেশ রফতানি করে মাত্র ১৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অপরদিকে মালয়েশিয়া থেকে আমদানি হয় এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য। মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে ৩৪০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও এর কোনোটিই আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না। এ অবস্থায় বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরাসরি মালয়েশীয় বিনিয়োগ প্রয়োজন। ইতোমধ্যেই পাওয়ারটেক ও রবির মতো কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিবেশ যথাযথভাবে ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আসছে না। এ প্রসঙ্গে বিএমসিসিআই সভাপতি আলমগীর জলিল বলেন, প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিবেশ রয়েছে, তা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ইতিবাচক। প্রচারণার অভাবে বিদেশিদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, সামিটে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ৭০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন। সামিটে দেশটির উচ্চপদস্থ আমলাসহ ২০০ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশ নেবেন। সংগঠনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এই সামিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির বার্তা মালয়েশীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকলে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাংক, চীন ও জাপানসহ অন্যরা ৬০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি দিতো না। আগামী তিন বছরে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলে দেশের চেহারাই পাল্টে যাবে।এমএমজেড/এনএইচ/আরআইপি
Advertisement