দেশজুড়ে

তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না বঙ্গবন্ধু সেতুর কর্মচারীরা

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) সাইট অফিসের প্রকৌশলীদের গাফিলতির কারণে গত তিন মাস যাবৎ বেতন পাচ্ছেন না  বঙ্গবন্ধু সেতুতে কর্মরত শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সাবেক এমসিসিসি-এসইএল-ইউডিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন করে কমিউনিকেশন কন্ট্রাকশন কোম্পানি অব চায়নাকে (সিসিসিসি) দায়িত্ব দেয়া হয়। অপরদিকে সেতুর টোল আদায়সহ অন্যান্য বিষয় পরিচালনার জন্য নতুন কোনো কোম্পানি নিয়োগ না হওয়ায় এর দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। বিবিএর অধীনে সেতুর টোল আদায় এবং সংশ্লিষ্ট কাজে কর্মরত শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেতুর সাইট অফিসের সহকারী প্রকৌশলীদের দায়িত্বহীনতার কারণে তিন মাস যাবত কোনো বেতন পাচ্ছেন না। এর ফলে এদের অনেকেই এখন অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া বিবিএর সাইট অফিসের প্রকৌশলীদের কাছে বেতনের বিষয়ে বলতে গেলে চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও কর্মরত অনেকেই অভিযোগ করেছেন। সেতুতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেহেতু বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া বাকি টোল আদায়সহ অন্যান্য বিষয়ে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সুতরাং কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সরকারি ভাবেই বেতন বা বকেয়া বেতন দিতে হবে। টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বেতন দিতে সময় হচ্ছে বলে জানান তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর বিবিএর সাইট অফিসের প্রধান সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়াশিম আলীকে বকেয়া বেতনের জন্য জিজ্ঞাস করতে গেলে চাকরি হারানোর ভয় দেখান তিনি। চাকরি হারানোর ভয়ে এর প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছি না। তারা আরো জানায়, চাকরির টাকা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। ঘরে খাবার নেই। তিন মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অর্ধাহার ও অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল অ্যান্ড ফাইন্যান্স কর্মকর্তা মো. আতিকুল হাসান বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সরাসরি টোল আদায় করছে। সুতরাং সরকারি টাকা বা বেতন পরিশোধের জন্য টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। মূলত টেকনিক্যাল বিষয়ের কারণে বেতন প্রক্রিয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে অতিদ্রুতই বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার মোবাইলে (০১৭১৭৭৯৬১৩২) যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে অফিসে গিয়ে বক্তব্য নিতে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ আছে বলে জানান বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়াশিম আলী।আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/এমএস

Advertisement