জাতীয়

সিটি নির্বাচন : লড়াই হবে দক্ষিণে

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণ অংশে সম্ভাব্য প্রার্থীসংখ্যা একাধিক হলেও উত্তর অংশে প্রার্থীসংখ্যা মাত্র তিন। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে উত্তরের চেয়ে দক্ষিণের লড়াইটা একটু বেশি হাড্ডাহাড্ডি হবে।যদিও এই দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ আভাস দিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ও রোজার মাঝামাঝি সময়ে এই নির্বাচন হতে পারে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনে প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাঈদ খোকন, স্বতন্ত্র হিসেবে হাজী মোহাম্মদ সেলিম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) আবদুল্লাহ আল কাফী (কাফী রতন), জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, একই দলের মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম রুবেল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির আবদুল্লাহ জিয়া, আওয়ামী লীগ-দলীয় সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি, আইনজীবী তুহিন মালিকের নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা গেছে।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রার্থী হিসেবে নাম এসেছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক, জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।আওয়ামী লীগ-সমর্থিত দুই প্রার্থীর কথা : গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার পর ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন সাঈদ খোকন ও আনিসুল হক। সাঈদ খোকন ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করেছেন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সাঈদ খোকন ‘আসুন সম্ভাবনার কথা বলি’, ‘এগিয়ে আসুন, পাশে থাকুন’সহ নানা স্লোগানে সিটি করপোরেশন এলাকায় বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পোস্টারও সাঁটিয়েছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যানার বিলবোর্ড টাঙিয়েছি। এখন পথসভা করছি, স্থানীয়ভাবে প্রচার চালাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার পর ইশতেহার প্রকাশ করবো।’ অন্যদিকে, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার কোনো প্রার্থীর বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘আসলে সহসা এ সুযোগ এসেছে। আমার কোনো প্রস্তুতি ছিল না। আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে প্রচার শুরু করব। আমি কিছুটা ভিন্নভাবে প্রচার করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজনীতিক নই। ঢাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমস্যাগুলো আমি প্রাধান্য দেবো। নগরকে সাজাবো।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যও না। দলীয় সভানেত্রী আমাকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছেন। কেন তিনি দিলেন, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি সবার সহযোগিতা চাই।’বিএনপিকে অংশ নিতে বললেন দুজনই : প্রধান বিরোধী জোট বিএনপি ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আসবে না। এ ব্যাপারে সাঈদ খোকন বলেন, ‘বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারে। আমি যেমন মনে করি, এ শহরের মানুষের ভাবনা এমনই।’আনিসুল হক বলেন, ‘আমি রাজনীতি নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। তবে এটা যেহেতু নির্দলীয় প্ল্যাটফর্ম। সুতরাং চাইব, সবাই যেন এই নির্বাচনে অংশ নেয়।’অন্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেও তাদের ব্যানার, বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার চোখে পড়েনি। তবে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিম ‘জনগণই আমার শক্তি’ স্লোগান দিয়ে বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন। সাঁটিয়েছেন পোস্টারও। সূত্র : প্রথম আলোবিএ/এমএস

Advertisement