বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট তুলে নজর কেড়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে নিজেকে বড় ভাগ্যবানই বলতে পারেন তিনি। অভিষেকটা হয়তো বিবর্ণই হতে পারতো তার। কারণ প্রথম ওভারে বল করতে এসে টানা দুই বলে খেয়েছেন চার। পরের বলে আম্পায়ারের ভুলে পেয়েছেন উইকেট। তখন যদি সে উইকেট না পেতেন হয়তো আরো কিছু রান লেখা হতো তার খাতায়। আর তাতে পরবর্তীতে আর বল পেতেন কি না তাতে সন্দেহ থেকেই যায়।সন্দেহটা প্রকাশ করেছেন চিটাগাং ভাইকিংস অধিনায়ক তামিমও। আম্পায়ারদের বাজে সিদ্ধান্তে হতাশ অধিনায়ক ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হতাশারতো অবশ্যই। দেখতে মনে হয় একটা উইকেট। একটা উইকেট অনেক সময় পরিস্থিতি পরিবর্তন করে দেয়। আমাদের ওটা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছিল। ওই সময় যদি আউট না হতো… সে পর পর দুটি বাউন্ডারি করছিল। এরপর হয়তো তাকে আর বলই করতে দেয়া হত না।’শুধু জহুরুলের উইকেটই নয় বাকি উইকেটগুলোও নিজেদের ভুলেই আউট হয়েছেন বলে মনে করেন তামিম। তিনি বলেন- ‘এমন কোনো বল হয়নি আমাদের ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যেতে হবে। এমন কোনো কিছুই হয়নি। যে ছেলেটা ৫টা উইকেট পেয়েছে অবশ্যই ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু ওর উইকেটগুলো যদি দেখেন এমন কোনো বল ছিল না। নিজে নিজেই ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেছে। এটা অবশ্যই আমাদের ভুল।’তামিম বলেন- ‘এই অবস্থায় আসার পেছনে আমাদের নিজেদেরকে দোষারোপ করা উচিত। দুইটা ম্যাচ আগে আমরা এমন এক অবস্থাতে ছিলাম, সহজেই আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে পারতাম। শেষ দুটি ম্যাচ যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছি, সেটা খুব একটা ভালো না। আমি সব সময়ই বলি আমরা ম্যাচ হারতে পারি তবে একটা ধরণ থাকে।’এদিন রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে যায় চিটাগাং। আর তিন বল আগে হারলে শেষ চার নিয়েই পরে যেত অনিশ্চয়তায়। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ চার নিশ্চিত হওয়ায় খুশি তামিম। শেষ চারের ম্যাচ মোকাবিলার আগে কিছুদিন সময় পাচ্ছেন তারা। আর তখন নিজেদের কাজগুলো ঠিক করে নেবেন বলে জানান এ ওপেনার।‘আমাদের হাতে কিছুদিন সময় আছে। সময় নিয়ে আলোচনা করে যদি দেখা যায় কার রোলটা আসলে কী? এই জিনিসটাও যদি এতো দেরিতে বুঝতে হয় তাহলে সমস্যা। সবার সঙ্গে আমাদের কথা বলতে হবে এটা সত্যি। দুটি খারাপ ম্যাচ খেলেছি। তার আগে পাঁচটা ভালো ম্যাচও খেলেছি। মাঝে মাঝে হয়তোবা একটা-দুইটা ওয়েকআপ কলও দরকার হয়।’আরটি/জেডএ
Advertisement