গাইবান্ধার সাঁওতালদের মামলা থেকে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র-জনতার উদ্যোগে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল-আলম হীরু। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক রনজিৎ বকশি সূর্য, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন ফকু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজিবুল হক জুবেল, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি সরকার। এছাড়া সমাবেশে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান প্রধান বাবলু, জাকারিয়া ইসলাম জুয়েল, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাহেদুল ইসলাম রকেট, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ঠান্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আকন্দ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তারা বেগম রূপা, সাঁওতালদের পক্ষ থেকে গৌড় পাহাড়ি ও চরণ মুরমু বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল-আলম হীরু বলেছেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি বিশেষ মহল এমপি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। তাই আজকের সমাবেশ থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি, অতি দ্রুত এই মিথ্যা মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমিতে চিনিকল কর্তৃপক্ষের লাগানো আখ কাটাতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে ৮ পুলিশসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হয়। ঘটনার ১১ দিন পর সাঁওতালদের পক্ষে স্বপন মুরমু বাদী হয়ে ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ঘটনার তিন সপ্তাহ পর সাঁওতালদের পক্ষে থোমাস হেমরম বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৬০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।জিল্লুর রহমান পলাশ/এএম
Advertisement