দেশজুড়ে

বিয়ের তথ্য গোপন করে পুলিশে চাকরি!

বিয়ের তথ্য গোপন করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শামীম খন্দকার নামে এক ব্যক্তি পুলিশে নিয়োগ লাভের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণসহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে বুধবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আলীম। অভিযোগকারী ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম শনিবার রাতে জাগো নিউজকে জানান, অভিযোগের সঙ্গে বিয়ের আসরে বসা বর-কনের যুগল ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছে।এদিকে ওই ইউপি সদস্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিশেষ শাখা থেকে একজন এএসআই পদমর্যাদার তদন্তকারী কর্মকর্তা বীরেন্দ্রনগরে সরেজমিন তদন্তে যান। শামীম খন্দকার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর গ্রামের সুলতান খন্দকারের ছেলে। অভিযোগকারী ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম একই গ্রামের বাসিন্দা। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর রশীদ শনিবার রাতে জাগো নিউজকে জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তথ্য গোপন করে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ কোনো নিয়োগ লাভ করলে নিয়মানুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শামীম খন্দকার নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে চলতি বছর পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি নেন। কিন্তু শামীম ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা শহরের লতিফা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার আজমপুর গ্রামের আলতাফ মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিযোগকারী ইউপি সদস্য আবদুল আলীমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা শহরের আইনজীবী এবং ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত শামীম খন্দকার ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ থেকে পুলিশ কনস্টেবল পদে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ লাভ করেন। পুলিশের নিয়োগ লাভের পর একই বছরের ২ অক্টোবর তাহিরপুর থানার এসআই নুরুল ইসলাম সরেজমিন পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে রহস্যজনক কারণে শামীমকে অবিবাহিত যুবক বলে সংশ্লিষ্ট দফতরে ভিয়ার প্রেরণ করেন। এরপর চলতি বছরের ১ নভেম্বর শামীম খন্দকার সিলেট রেঞ্জের অধীনস্থ পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার ওসমানীনগরের লালা বাজারে ট্রেনিং করতে যান।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম খন্দকারের চাচা শাহজাহান খন্দকার জাগো নিউজকে জানান, বর-কনে সেজে বিয়ের সাজে বসানো হলেও কনের বয়স না হওয়ায় ওই সময় শুধু আংটি পরানো হয়েছিল। তবে দেনমোহর হিসেবে ২০ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল।অন্যদিকে ভিয়ারের তথ্য সংগ্রহকারী তাহিরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।এআরএ/আরআইপি

Advertisement