খেলাধুলা

এবার মাহমুদউল্লাহর খুলনাকেও হারালো মাশরাফিরা

জ্বলে ওঠাটা একেবারেই অসময়ে। আর একটা-দুটা ম্যাচ আগেও যদি জ্বলে উঠতে পারতো মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, তাহলে অন্তত শেষ চারের আশা করা যেতো। তবুও, সুক্ষ যে হিসাবটা এখনও বাকি আছে, সে হিসাবের জোরেই কুমিল্লার ভক্তরা আশায় বসতি গেঁড়েছেন। কারণ, এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় পেলো বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্সকে পরাজিত করলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খুলনার দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য ৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে পার হয়ে গেলো কুমিল্লা। ফলে ৫ উইকেটের অসাধারণ এক জয় পেলো মাশরাফি অ্যান্ড কোং। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারলো মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটান্স। ঢাকায় তৃতীয় পর্ব শুরু হওয়ার পর বরিশাল বুলসের সঙ্গেই জিততে পেরেছে শুধু খুলনা। এরপর টানা হেরেছে তারা।ঢাকায় তৃতীয় পর্বে এসে শুরুতে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরেছিল মাশরাফির কুমিল্লা। এরপর রংপুর রাইডার্স, বরিশাল বুলস আর সর্বশেষ তারা হারালো খুলনা টাইটান্সকেও। মূলতঃ শেষ মুহূর্তে এসে দারুণ জ্বলে উঠেছে মাশরাফির সেনানিরা। মারলন স্যামুয়েলস ফিরেছেন দুর্দান্ত ফর্মে।মূলতঃ স্যামুয়েলসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভিত্তি করেই খুলনা টাইটান্সের ১৪২ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই পার হয়ে যায় খুলনা। ৫৭ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন মারলন স্যামুয়েলস। ৮টি বাউন্ডারিতে সাজান এই ইনিংস। ১৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা। দলীয় ১ রানেই আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারায় তারা। কোন রান না করেই আউট হন শেহজাদ। তবে এরপরই মারলন স্যামুয়েলসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস। এ সময় ২০ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান ইমরুল। এর একটু পরই খালিদ লতিফ আউট হয়ে গেলে কিছুটা বিপদে পড়ে কুমিল্লা।তবে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাল্কা ঝড় তোলেন মাশরাফি। ১১ বলে করেন ২০ রান। তার এই ঝড়েই অনেকটা এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মাশরাফির পর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন মাত্র ৪ রান করে। তবে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অনেক দিন পর রানের দেখা পেলেন লিটন দাস। ১১ বলে অপরাজিত ২৪ রান করে তিনি কুমিল্লার জয় ত্বরান্বিত করেন। স্যামুয়েলস আর লিটন দাস মিলে গড়েন ৪২ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন বেনি হাওয়েল। ১টি করে উইকেট নেন জুনায়েদ খান, মোশাররফ হোসেন এবং শফিউল ইসলাম।    আইএইচএস/

Advertisement