পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে রাতভর নিজের দফতর নবান্নেই অবস্থান করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যে সেনা মোতায়েনের ঘটনাকে সেনা অভ্যুত্থানের সামিল বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ নিয়ে বেশ সোচ্চার হয়ে উঠেছে মমতার দল। অপরদিকে, দিল্লিতে সংসদে এ বিষয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন বাকি বিরোধী দলের নেতারাও। রাজ্যসভায় বাংলার পালসিট আর ডানকুনি টোল প্লাজায় সেনা মোতায়েন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় কেন্দ্রকে জবাবদিহি করতে হবে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার কোনো অবনতি ঘটেনি। তাহলে এত সেনা মোতায়েন করা হলো কেন? সেনা মোতায়েনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, সেনাদের রাজনীতির মধ্যে টেনে আনা ঠিক নয়। এটা স্পর্শকাতর বিষয়। এর জন্য অন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে নজর ঘোরানো ঠিক নয়। মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন বাহুজান সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতীও। তিনি বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অবিচার করছে কেন্দ্র। বাংলায় আজ যা পরিস্থিতি তা ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী। ভারতীয় সেনাদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সুভাষ ভামরে বলেছেন, ২০১৫ সালেও রাজ্যের ওই একই জায়গায় এই কর্মসূচি হয়েছে। তৃণমূল সাংসদরা অবশ্য এই দাবি মানেননি। তারা জানিয়েছেন, এসব বলে মানুষকে ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে। লোকসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সেনা অভ্যুত্থানের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর বলেছেন, রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়েই ওই কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। টিটিএন/এমএস
Advertisement