যশোরের নওয়াপাড়া বেতার কেন্দ্রের সামনে চলন্তবাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপে একযাত্রী নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী। শনিবার রাত ১০টার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমানসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্র জানায়, যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া বেতার কেন্দ্র সংলগ্ন ধোপাদি সংযোগ সড়কের সামনে শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-০৮২৬) একটি যাত্রীবাহী বাসে একদল দুর্বৃত্ত পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। তবে বোমাটি বিস্ফোরিত না হলেও বাসের জানালা ভেঙ্গে কাঁচের আঘাতে ২ জন যাত্রী আহত হন। আহতরা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের নারায়ন গাইনের ছেলে বিজন গাইন (২৫) ও খুলনার গিলাতলার আলীম জুট মিলের স্টোর অফিসার আল মামুন (২৫)।এসময় ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বিজন গাইন জানালা দিয়ে লাফ দিলে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। আহতদের প্রথমে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে বিজন গাইনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মাথায় প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় অভয়নগর থানা পুলিশ ওই রাতেই বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য ও অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের জিয়াউর রহমান (৩৫), ও তার ভাই রেজাউল (৩৮), একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম মিরু (৩৮) ও একতারপুর গ্রামের রমজান আলীকে (৩৮) আটক করে।এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার সময় যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তবে পেট্রলবোমাটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিজন গাইনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন। এমএএস/পিআর
Advertisement