জাতীয়

পেট্রলবোমা সন্ত্রাস-জঙ্গিদের উৎসাহ দিচ্ছে : বেনজীর আহমেদ

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, চলমান গণহত্যা ও পেট্রলবোমার সন্ত্রাস ধর্মীয় জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসকে উস্কে দিচ্ছে। দেশে বর্তমানে যে গণহত্যা, পেট্রলবোমার সন্ত্রাস চলছে, তা অন্যান্য সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জোগাচ্ছে। তারা দেশটাকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থেকে তিন জঙ্গিকে আটকের পর র‌্যাব-৭ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে জঙ্গিদের আটকের খবর পেয়ে হেলিকপ্টারযোগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন র‌্যাবের মহাপরিচালক।র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আগে যাদের ধরা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আল-কায়েদা কিংবা আইএস-এর নেটওয়ার্ক আছে কিনা সেটা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই আমরা তাদের পরিচয়টা জনসম্মুখে আনতে চাইছি না।জঙ্গি তৎপরতার নেটওয়ার্ক শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের সঙ্গে অবশ্যই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক আছে। এত বড় আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মযজ্ঞ, এজন্য তো আর্থিক সাহায্য, গ্লোবাল রিলেশন (বৈশ্বিক যোগাযোগ) প্রয়োজন। এ সব জঙ্গিদের দেশীয়, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখবো।বেনজীর আহমেদ বলেন, আটকদের কাছ থেকে ফ্লাস্ক আকৃতির বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। যে কেউ এ ধরনের একটি বোমা হাতে নিয়ে ঘুরলে মনে হবে, শিশুদের স্কুলের ফ্লাস্ক। অথচ এটা মারাত্মক প্রাণঘাতী বিস্ফোরক।নগরীর হালিশহরে গোল্ডেন কমপ্লেক্স আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৭৬টি হ্যান্ডগ্রেনেড সদৃশ তাজা বোমা ও বিপুল বোমা তৈরির সরঞ্জাম, গোলাবারুদ এবং তিন জঙ্গিসহ মোট চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব। এদের মধ্যে এক নারী রয়েছেন।শুক্রবার রাতভর গোল্ডেন কমপ্লেক্স আবাসিক এলাকার বি এ ম্যানশন নামের একটি ভবনের দ্বিতীয়তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ফ্ল্যাটে মজুদ রাখা বিস্ফোরকগুলো জব্দ করে র‌্যাব।জেইউ/বিএ/পিআর

Advertisement