দেশজুড়ে

তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে গাইবান্ধার কৃষক

বহুজাতিক তামাক কোম্পানির প্রলোভনে অধিক লাভের আশায় গাইবান্ধার কৃষকেরা তামাক চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ক্ষতিকারক তামাক চাষে লাভ বেশি হওয়ায় এ অঞ্চলের অনেক কৃষকেই রবি ফসল চাষ ছেড়ে দিয়েছেন।চলতি মৌসুমে দ্বিগুণ রবি শষ্যের জমিতে ক্ষতিকর তামাক চাষ করায় এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে।সরেজমিনে জানা গেছে, চার বছর আগেও যে সব জমিতে কৃষক রবি ফসল আবাদ করত এখন তা চলে গেছে তামাক চাষের দখলে। রবি ফসলে লাভ কম হওয়ায় তামাক চাষে ঝুঁকছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।তামাক প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোর নানা প্রলোভনে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় ২৯০ হেক্টর জমিতে এ বছর তামাক চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ বেশি হয়েছে।তামাক চাষি আ. জব্বার জাগোনিউজকে জানান, আলু, সরিষা, ভুট্টা ও সবজির মতো রবি ফসল আবাদের চেয়ে তামাক চাষে বেশি লাভ হয়। তামাক চাষে পরিবেশ, জমির মাটি এবং নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর জেনেও আর্থিক লাভবান হওয়ায় তারা এ আবাদ করছেন।সার, বীজ ও ওষধসহ সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি তামাক আবাদে কোম্পানিগুলোর তদারকির জন্য এলাকায় লোক নিয়োগ করছে।নির্ধারিত মূল্যে তামাক বিক্রি করতে পারায় প্রতি বিঘাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তামাক বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাহেরা বানু বলেন, তামাক প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির প্রলোভন আর বিভিন্ন ফসলের চেয়ে তামাকের আর্থিক মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা এ ধরনের ক্ষতিকর আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। তামাক চাষ থেকে ফেরাতে কৃষকদের নিয়ে সভা, সমাবেশসহ নানা তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।এমএএস/আরআই

Advertisement