খেলাধুলা

এবার আসিফকে ধুয়ে দিলেন বিপিএল কর্তারাও

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার শুরুতে দারুণ ক্রিকেট খেলেছিল বরিশাল বুলস। তবে সে ধারা ধরে রাখতে পারেনি তারা। টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে যায় তারা। তাতেই দলটি ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত এমনটা নিশ্চিত হয়ে গেছেন গায়ক আসিফ! আর এ উদ্ভট চিন্তাধারার জন্য তাকে পাগল বলতেও দ্বিধাবোধ করেননি দলটির অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। এবার মুশফিককে সমর্থন দিয়ে এ গায়ককে ধুয়ে দিলেন খোদ বিপিএল গভর্নিং কমিটির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকও।   বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে আসিফের মন্তব্য সম্পর্কে মল্লিক বলেন, ‘ফেসবুক তো একটা প্ল্যাটফর্ম। একজন নামকরা গায়কের একটা প্ল্যাটফর্মে এরকম কথা লেখা উচিত হয়নি। আপনার যদি ব্যক্তিগত মত হয়, যেহেতু আপনার কাছে কোনো প্রমাণ নেই, তাই ব্যক্তিগত মতটা পাবলিক ফোরামে না বলাই ভালো। ফেসবুকে একটা কথা বলে দিলে, এতে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করে। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। যে কারণে মুশফিকের উত্তর আমি মনে করি সঠিক, ও তো হতাশ হতেই পারে।’কদিন আগে রংপুর রাইডার্সের অখ্যাত খেলোয়াড় জুপিটার ঘোষ হঠাৎ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনেন দলের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেনের বিপক্ষে। এর পরই আসিফ বিপিএল নিয়ে তার ফেসবুকে নিজের মতবাদ জানান। সেখানে তিনি লিখেন তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই তবে তিনি নিশ্চিত বরিশাল বুলস ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত। এ গায়কের কথায় প্রচণ্ড ক্ষেপে যান মুশফিক। তার মস্তিষ্কের স্বাভাবিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধিনায়ক। এবার মল্লিকের সমর্থনও পেলেন তিনি।‘স্বাভাবিকভাবে উনার (আসিফ) এই কথাটা, যেটাতে উনি নিজেই বলছেন যে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই, সন্দেহের ভিত্তিতে বলছি, সেক্ষেত্রে মুশফিকের প্রতিক্রিয়া তো পুরোপুরি সঠিক, যে কিনা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার এই বিপিএলের। খেলায় তো হারজিত আছেই। আপনি চিটাগাংয়ের খেলা দেখেন, কত ম্যাচ হারছে পরে জিতছে। সেরা দল করেও কিন্তু কখনো জেতা যায় না।’এবারের আসরে বরিশাল বুলসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আসিফ। তাই স্বাভাবিকভাবে তার এমন আচরণে আরো অবাক হয়েছেন মল্লিক। তার মতে, ফিক্সিং নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা আকসু কিংবা বিসিবি বরাবর বলা উচিত ছিল। এমনভাবে ফেসবুকে বলে বিতর্ক সৃষ্টি করাকে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলে মনে করেন তিনি।‘টি-টোয়েন্টি হলেই ফিক্সিংয়ের কথাটা আসছে, এটা কিন্তু একটা প্রবাদের মতো হয়ে গেছে। হোক না হোক, আমার মন চাইলো আমি বলে দিলাম। দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা দল কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজির অ্যাম্বাসেডর হলে এই কথাটা বলা উচিত নয়। তার যদি কিছু বলার থাকে, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আছে, অ্যান্টি-করাপশন আছে, সবচেয়ে বড় কথা আমাদের বিসিবি আছে। তারা এইসব কথা এ জায়গাগুলোতে বলবে।’আরটি/এনইউ/আরআইপি

Advertisement