খেলাধুলা

এবারও প্রথম ম্যাচে লুইস ঝড়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরে একমাত্র সেঞ্চুরিটি এভিন লুইসের। নিজের প্রথম বিপিএল ম্যাচেই এ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন এ ক্যারিবিয়ান। এবারও সে পথেই হাঁটছিলেন তিনি। তবে হাফ সেঞ্চুরি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। তবে এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচেই বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে ঢাকাকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে গেছেন। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেহেদী মারুফের নিয়মিত সঙ্গী কুমার সাঙ্গাকারার জায়গায় ওপেনিং করতে নামেন লুইস। আর ব্যাটিংয়ে নেমেই চার-ছক্কার ঝড় তোলেন এ ক্যারিবিয়ান। মাত্র ২১ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এবারের আসরে এটা দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে সতীর্থ সেকুগে প্রসন্ন চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।এ দিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন লুইস। প্রথম দুই ওভারে মাত্র এক বল মোকাবিলা করার সুযোগ পান তিনি। পরের ওভারেই সোহাগ গাজীকে পয়েন্টের উপর দিয়ে চার মেরে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সূচনা করেন এ ক্যারিবিয়ান। এরপর সপ্তম ওভারেই তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। আফ্রিদির করা সে ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। তৃতীয় ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ক্রিস গেইলের স্বদেশী।সেঞ্চুরির দিকে আগাতে থাকা লুইসকে আটকান অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকার। আরও একটি ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন তিনি। অতিরিক্ত ফিল্ডার ইলিয়াস সানির দারুণ ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৭৫ রান করেন লুইস। এ রান করতে বল খেলেন ৩৪টি। ৩টি চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান এ ক্যারিবিয়ান।এ দিন এবারের আসরের ষষ্ঠ শতরানের জুটিও উপহার দেন লুইস। মেহেদী মারুফের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৩ রান সংগ্রহ করেন তারা। উদ্বোধনী জুটিতে এর আগে বরিশালের বিপক্ষে ১১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন চিটাগাং ভাইকিংসের তামিম ইকবাল ও জহুরুল ইসলাম।উল্লেখ্য, গত আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে লুইসের অপরাজিত শতকে এই ঢাকা ডায়নামাইটসকেই ৯ উইকেটে হারিয়েছিল বরিশাল বুলস। ১০১ রানে অপরাজিত থাকা সে ইনিংসে মেরেছিলেন ৬টি ছক্কা আর ৭টি চার। মাত্র  ৬৫ বল মোকাবিলা করে সে রান করেছিলেন তিনি।আরটি/এমআর/পিআর

Advertisement