বড্ড অসময়ে জ্বলে উঠলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নিজেদের নবম ম্যাচে এসে তারা দেখা পেয়েছে দ্বিতীয় জয়ের। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বরিশাল বুলসকে তারা পরাস্ত করেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪২ রান তোলে মুশফিকুর রহীমের বরিশাল। জবাবে ৬ বল হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা।এই জয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকতে হচ্ছে কুমিল্লাকে। ৯ ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। হাতে বাকি আছে তিন ম্যাচ। ওই ম্যাচগুলো জিতলেও শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে মাশরাফিদের। কারণ রানরেটে পিছিয়ে আছে তারা। তাছাড়া রংপুর রাইডার্স, চিটাগাং ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংসকে হারতে হবে সব ম্যাচ। যা অসম্ভবই। কেননা এই তিন দলও তো একে অপরের বিপক্ষে লড়াই নামবে।পয়েন্ট টেবিলে বরিশালের অবস্থান ষষ্ঠ। ১০ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সাকিব আল হাসানের দলের সঞ্চয় ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। এদিকে লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কুমিল্লাকে দেখা গেল সেই পুরনো রূপে। খেলেছে চ্যাম্পিয়নের মতোই! তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৩ রান। ব্যক্তিগত ৪৬ রানের মাথায় ডেভিড মালানের বলে কামরুল ইসলাম রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। ৩৫ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় এ রান করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ওপেনার।বরিশালের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে খেলতে নামা আহমেদ শেহজাদও দারুণ খেলেছেন। ৫৬ বলে পাঁচটি চারে ৬১ রান করেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। তিনি শিকার রুম্মন রইসের। ১৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন মারলন স্যামুয়েলস। তার সঙ্গে কুমিল্লাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৫ বলে একটি চারের মারে ৭ রান করা খালিদ লতিফ। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন রুম্মন রইস ও ডেভিড মালান।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন দলীয় অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন জীবন মেন্ডিস। এনামুল হক ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন। বরিশালের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আবু হায়দার রনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬* রান।চার ওভারে ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সেরা বোলার নাবিল সামাদ। ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হন ৩০ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই স্পিনার। রশিদ খান নিয়েছেন দুই উইকেট। আর একটি করে উইকেট লাভ করেছেন শাহাদাত হোসেন রাজীব ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন।এনইউ/এমএস
Advertisement