হরতাল অবরোধের মাঝেও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে আশ্বস্ত করায় দু’একদিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে প্রশাসন। অপরদিকে এ সিদ্ধান্তকে অভিভাবকরা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তারা। শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রথম দিন থেকেই বিএনপি নেতৃত্বাধনি ২০ দলের হরতালের কবলে পড়ে দেশের শিক্ষাঙ্গন। অথচ এদিন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো নতুন বই। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যাহত হয় শিক্ষা কার্যক্রম।টানা হরতাল এবং অবরোধের কারণে দুই মাস স্কুলগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালুর চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।মূলত ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সবগুলো স্কুল খুলে যাবে। এ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যারা যোগাযোগ করেছে, সবাইকেই আমরা স্কুল খোলার কথা বলেছি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারেও আশ্বাস দিয়েছি।ডাক্তার খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাসমত জাহান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে যদি স্কুল খোলা রাখার নির্দেশনা আসে, তবে অবশ্যই আমরা খোলা রাখবো।অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করলে আমরাও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাই। সিএমপি কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডল জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে, স্কুলগুলো শুরু হলে আমরা স্কুল-কেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করবো।উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অধীনে ৬শ` ৪১টি প্রাথমিক ও ২শ` ৩১টি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। আর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী রয়েছে দুই লক্ষাধিক।এএইচ/এমএস
Advertisement