মতামত

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ঝুঁকি : যন্ত্রের নয় দায় যন্ত্র পরিচালকের

বাংলাদেশে আলোচনা করার জন্য বিষয়ের অভাব হয় না কোনোকালেই কিন্তু ইদানীং যে বিষয়টি ঘুরে-ফিরে আলোচনায় আসছে, তাহলো প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের বার বার দুর্ঘটনার শিকার হওয়া, যা আসলেই একটি উদ্বেগের বিষয় এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য কোনোভাবেই সুখকর নয়। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। খবরটি যে কোনো দেশের জন্যই কেবল উদ্বেগজনক নয়, নিন্দনীয়ও বটে। কারণ প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছিলেন হাঙ্গেরির রাষ্ট্রপ্রধানের আমন্ত্রণে বিশ্ব পানি সম্মেলনে যোগ দিতে, নিঃসন্দেহে হাঙ্গেরিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছিল, এই জরুরি অবতরণের ফলে সে দেশের আয়োজনেও পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তাছাড়া বিশ্বময় তো এ খবর প্রচারিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। তাতে কি দেশের সম্মান কিংবা রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমানের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে? নিশ্চয়ই না। পরবর্তী সময়ে এ কথাও তো আমরা গণমাধ্যম থেকেই জানতে পারি, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির ইঞ্জিন আকাশেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ঘটনাটা কী ভয়ঙ্কর হতে পারতো- ভাবলেই গা শিউরে ওঠার কথা। কিন্তু এ কথাও সত্য, সে রকম কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এ দেশেও বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী যে কমেডি মঞ্চস্থ হয়েছিল তার মহড়াও যে এই শহরেই সেদিন ঘটেছে- সে খবরটাও জানানো প্রয়োজন বলে মনে করি। কিন্তু নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রশ্নটা যখন তুলতেই হচ্ছে, তখন তো আমাদের এর পূর্বাপর নিয়েও খানিকটা কথা বলা উচিত, নয়? মাত্র ছ’মাস আগেই আমরা জানি, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর শেষে ফেরার পথে ঢাকার রানওয়েতে পাইলট ধাতববস্তু পড়ে থাকতে দেখে অবতরণ না করে আকাশে কয়েকবার চক্কর দেন এবং রানওয়ে থেকে সেগুলো অপসারণ করানো হয়। সেক্ষেত্রেও যে দুর্ঘটনাটি ঘটার সম্ভাবনা ছিল তাতে কেবলমাত্র শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা নন, প্রায় ২৫০-৩০০ যাত্রীরও প্রাণাশঙ্কা ছিল। আমরা জানি, সে সময় ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে ব্যক্তি নিয়োজিত ছিলেন তার সঙ্গে দেশের একটি সংঘাত-প্রিয় রাজনৈতিক দলের সরাসরি যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছিল, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত জামায়াত ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আজমের পরিবারের সদস্যদের তিনি এক প্রকার এসকর্ট করেই বিদেশে চলে যেতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এসব অভিযোগের চেয়েও বড় কথা হলো, তার ওপর যখন একটি ব্যস্ততম বিমানবন্দরের (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে) নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায় ও দায়িত্ব রয়েছে, সেহেতু তিনি কোনোভাবেই যেমন দেশের শত্রুর পরিবারকে নিরাপদে দেশত্যাগ করার সুযোগ করে দিতে পারেন না, তেমনই তিনি পারেন না বিমানবন্দরের রানওয়েকে অ-নিরাপদ রাখতে, কারণ সেই রানওয়েতে কেবল শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানই অবতরণ করে না, সেইসঙ্গে দিনে আরো অসংখ্য ফ্লাইট ওঠানামা করে। ফলে দায়িত্বে অবহেলার জন্য তাকে পদচ্যুত করাটাই শেষ কথা হতে পারে না, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই অবহেলা ষড়যন্ত্র বা হত্যা প্রচেষ্টা কিনা- সেটি খতিয়ে দেখার প্রয়োজনও ছিল। কিন্তু শুরুতেই বলেছি, আমরা বাংলাদেশের কথা বলছি এবং বাংলাদেশে আসলে চাইলেই সবকিছু হয় না, হওয়ানো সম্ভব নয়। কোথাও না কোথাও এই ধরনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে রক্ষার জন্য একটি অদৃশ্য বলয় কাজ করে এবং তাকে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আপাতত বিষয়টি থেকে আগ্রহীদের দৃষ্টি সরানো হয়। এবং তাতেই কাজ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত থাকেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি যখন হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে না গিয়ে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে গিয়ে জরুরি অবতরণ করে, তখন আবার গণমাধ্যম এই সংবাদ আমাদের জানায়, সেই নিরাপত্তা কর্মকর্তা আসলে বিমানবন্দরেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন এবং তিনি এখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আছেন। বিষয়টি একবার সাদা মন নিয়ে ভেবে দেখার চেষ্টা করুন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানকে বিধ্বংসের (ধরে নিচ্ছি, রানওয়েতে যে ধাতব টুকরো পড়ে থাকতে দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের পাইলট তা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ছিল, না হলে এ রকম ঘটনা তো সচরাচর ঘটে বলে জানা নেই আমাদের, আছে কি?) অভিযোগ উঠেছিল কিংবা বলা ভালো দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছিল, সেই ব্যক্তিই এখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, কী করে দেশের প্রধান বিমাবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা যায়!! বিস্ময়বোধক চিহ্ন দিয়ে বাক্য শেষ করা ছাড়া এখানে বলার মতো আর কোনো কথা আসছে না, সে জন্য পাঠকের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমরা প্রায়শই শুনে থাকি, হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানসহ দেশীয় অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলোর বিমানে নানা ধরনের নিরাপত্তাজনিত গাফিলতির খবর। আজকেই দেশের প্রথম শ্রেণির একটি দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করেছে, বিমানের ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইটেও নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে গতকাল এবং সে কারণেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিকে কেন আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধরেই নিচ্ছি, গঠিত এই তদন্ত কমিটি বিমানের মুখ রক্ষা করে একটি রিপোর্ট দেবে এবং তাতে মূল ঘটনা কোনোদিনই জানা যাবে না। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির যেগুলোতেই এরকম তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রেই এরকম ‘আলোর মুখ না দেখা’ রিপোর্ট সম্পর্কে পরবর্তীতে আমরা কেউ আর কোনো খোঁজ-খবর পাইনে, এটা আমাদের জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রেও তাই-ই হবে ধরে নিয়ে যে প্রশ্নটি ওঠানো দরকার তা হলো, তাহলে এই অবহেলা আসলে কার? অনেকেই এজন্য বিমানমন্ত্রীকে দায় দিচ্ছেন, বলতে চাইছেন, অন্য কোনো দেশ হলে বিমানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হতো। ধরুন, জেদ্দাগামী যে ফ্লাইটটি বিমানবন্দরের দেয়াল ভেঙে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সফল (?) হয় এবং ৩৭৪ জন যাত্রীর জীবন রক্ষা করে- সেই ঘটাতে পারতো, দুর্ঘটনার জন্য তো আমরা নিশ্চয়ই বিমানমন্ত্রীকে দায়ী করবো না, তাই না? কিন্তু তিনিও কি চাইলেই এর দায় এড়াতে পারেন? পারেন না। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এবং একজন সাধারণ যাত্রী, কারোর জীবনই তুচ্ছ নয়, কাউকেই অবহেলা করার সুযোগ নেই। কিন্তু বার বার আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিমানের ক্ষেত্রে এরকম অবহেলাজনিত কারণে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এমনি করে হয়তো একদিন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটেই যাবে এদেশে, তখন আমরা আবার একটি তদন্ত কমিটি করবো এবং আবারও অপেক্ষা করবো ‘আলোর মুখ না দেখা’ রিপোর্টের। প্রশ্ন হলো, বাঘ আসছে বাঘ আসছে বলে যে গল্পটি আমরা শিশুকালে পড়ে বড় হয়েছি বড় বেলায় বিমানের ক্ষেত্রে যেদিন সত্যি সত্যিই বাঘ আসবে অর্থাৎ দুর্ঘটনাটি ঘটবে তখন তার দায়ও কি বিমানমন্ত্রী চাইলেই এড়াতে পারবেন? বিমানমন্ত্রী কোনো ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, এই পদে যে কেউ থাকতে পারেন, কারণ পদটিতে যে কেউ নিয়োজিত হতে পারেন, তাই কোনো ব্যক্তির দিকে তীর না ছুড়ে একথা জোর দিয়েই বলতে হয় যে, গত ১০ বছরে দেশে-বিদেশে বিমান ছোট-বড় মিলিয়ে সাতটি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় এবং এর প্রতিটিই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মোড় নিতে পারতো। প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন, এই সাতটি দুর্ঘটনার জন্য এ পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কি কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? যে পত্রিকাটির রিপোর্ট নিয়ে এই দুর্ঘটনাসংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছি, সেখানে কিন্তু কারো বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির কথা উল্লেখ নেই। তার মানে তেমন কোনো শাস্তির নজির নেই। তাহলে কেন বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনে? কেনই বা তারা দেশের মূল্যবান সম্পদ রক্ষার কথা ভাববেন? তারা তো কেবল চাকরি করছেন এবং মাস শেষে বেতন নিয়ে সুখেই আছেন, এবং তাদের কোনো অন্যায় বা অবহেলার যেহেতু শাস্তি হয় না, সেহেতু তারা ইতোমধ্যেই ‘ইনডেমনিটি’ পেয়ে গেছেন, সেটা প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ক্ষেত্রে অবহেলা হোক কিংবা তিন শতাধিক যাত্রী পরিবহনকালে ঘটা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে হোক। আমি জানি না, একেই হয়তো বলে ‘ইনডেমনিটি’ বা পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি, এবং আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি, এই সংস্কৃতি আমাদের যে কোনো জাতীয় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই সত্য হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবননাশের আশঙ্কা নিয়ে কেবল তার সমর্থকেরাই উদ্বিগ্ন নয়, তার শত্রুরাও একথা জানেন, তিনি কতোগুলো ভয়ঙ্কর গোষ্ঠীর  টার্গেট। কিন্তু মাত্র মাস-কয়েকের ব্যবধানে তার জীবনের ওপর কেবলমাত্র বিমান ভ্রমণজনিত যে ঝুঁকি আমরা লক্ষ্য করছি, তাতে এই আশঙ্কা তীব্রতর হয়ে ওঠে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ বিমান কেনার জন্য, কিন্তু তাতে কি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়? সমস্যা তো বিমান নয়, সমস্যা তো বার বার তৈরি হচ্ছে বিমান যারা পরিচালনা করেন তাদের দ্বারা, তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণ কিংবা এমনও হতে পারে, ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তারা নিজেরাও কোনো না কোনোভাবে জড়িত রয়েছেন। তাহলে প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের জন্য ‘স্পেস শিপ’ কিনলেই বা কী এসে গেলো, যদি তার চালক কিংবা তাতে যারা জ্বালানি ভরেন তাদের ভেতর কেউ যদি নিরাপত্তা-হুমকি হন কিংবা বিমাবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাই হন রাজনৈতিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিপক্ষ, যারা মনে করেন শেখ হাসিনাকে হত্যা করা গেলেই তাদের জীবন সবচেয়ে আরামদায়ক হয়ে উঠবে। আমি মনে করি, এসব প্রশ্নের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বিমান ও বিমানবন্দরকে নিরাপদ করার উপায়-সম্পর্কিত উত্তরটিও। যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটতেই পারে এবং তা দেখার দায় ও দায়িত্ব মানুষের, সে মানুষগুলো তাদের দায়িত্ব যদি সঠিকভাবে, আন্তরিকতার সঙ্গে পালন না করেন, তাহলে যান্ত্রিক গোলোযোগের দোহাই দিয়ে দায় এড়ানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। আমাদের স্মৃতি এখনও জ্বল জ্বল করছে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউল হকের মৃত্যুর কথা, বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু নিয়ে এখনও রহস্যজট রয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের মিলও এখানেই, এখানেও কোনো রহস্যই সহসা উদঘাটন হয় না। কিন্তু বার বারই নিয়তি প্রধানমন্ত্রী কিংবা সাধারণ যাত্রীদের বাঁচিয়ে দেবে- সেটাও ভাববার কোনো কারণ আছে বলে মনে করি না। সুতরাং, অন্তে একথাই বলতে চাই, দায়িত্বপ্রাপ্তরা আরো একটু দায়িত্ববান হোন, যন্ত্রের দোহাই দিয়ে নিজেদের দায় এড়াবেন না এবং এটুকু নিশ্চিত করার দায় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্তরাই নিশ্চিত করুন, না হলে নিয়তিকে দোষ দিয়ে আর কাজ হবে না, কারণ নিয়তি তার মেসেজ আমাদের বার বারই দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ২৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার, ২০১৬লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্টmasuda.bhatti@gmail.com এইচআর/এনএইচ/এমএস

Advertisement