আইন-আদালত

অস্ত্র আইনে নিজাম হাজারীর মামলার তথ্য চান হাইকোর্ট

ফেনী-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া একই দিন মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।নিজাম হাজারী ঠিক কবে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সে বিষয়ে আদালতের নথিতে দুই রকম তথ্য থাকায় এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ১৯৯১ সালের ২৪ জানুয়ারি এ মামলা করা হয়।সোমবার নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন দত্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী।এর আগে গত ৩০ আগস্ট রায় ঘোষণা শুরু করেন। কিন্তু রায় ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে (৩১ আগস্ট) নিজাম হাজারীর আইনজীবীরা নতুন করে প্রশ্ন তোলেন। তারা আদালতে সন্ধানীর একটি প্রতিবেদন দাখিল করে বলেন, নিজাম হাজারী ১৩ বার রক্ত দিয়েছিলেন। যার বিপরীতে তিনি ৪৮৬ দিনের কারাবাস থেকে রেয়াত পাওয়ার অধিকারী হয়েছেন। এ অবস্থায় রায় ঘোষণা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি নিজাম হাজারী কারাভোগের সময় কত ব্যাগ রক্তদান করেছেন এবং এ কারণে কতদিন কারাবাস রেয়াত পাওয়ার অধিকারী হয়েছেন, সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। পরে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করে। কারা কর্তৃপক্ষের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, রক্তদানের কোনো রেকর্ড তাদের কাছে নেই। ওই প্রতিবেদনে সন্ধানীর বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। এ অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর শুনানি শেষে ২২ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। গত ২২ নভেম্বর আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীদের কাছে প্রশ্ন রাখেন যে, কারাবন্দি আসামির সাজার রেয়াদ পাওয়ার বিষয়ে ১৯৫৯ সালের একটি বিধি আছে। সেখানে শতকরা ৩০ ভাগ রেয়াদ পাওয়ার কথা উল্লেখ আছে।এছাড়া বর্তমান কারাবিধিতে শতকরা ২৫ ভাগ রেয়াদের কথা উল্লেখ আছে। এ অবস্থায় কোন বিধান কার্যকর হবে? নাকি উভয় রেয়াদ একসঙ্গে চলবে? এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন। আজ (সোমবার) নির্ধারিত দিনে এ বিষয়ে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা তাদের আইনী ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। শুনানিকালেই আদালতের সামনে নতুন মামলার বিষয়টি চলে আসে। এফএইচ/আরএস/পিআর

Advertisement